সামান্থা রুথ প্রভু নিজের দক্ষতায় প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের জায়গা। দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগৎ পেরিয়ে বলিউডেও ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন এ অভিনেত্রী। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর মতো জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইতিমধ্যেই। সব মিলিয়ে পেশাগত জীবনের অন্যতম সেরা সময়ে রয়েছেন সামান্থা। তা সত্ত্বেও অবসাদের অন্ধকার নাকি মাঝেমধ্যেই গ্রাস করে তাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবাহবিচ্ছেদের পরবর্তী সময়ের জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। তার দিন কয়েক পরেই ছিল যুগলের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু অনুরাগীদের চমকে দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মতো মন খারাপ করা খবর প্রকাশ করেন সামান্থা ও নাগা চৈতন্য। অথচ দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পরে ২০১৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। বিয়ের আগে ছিলেন লিভ ইন রিলেশনশিপে। সব মিলিয়ে প্রায় এক দশকের সম্পর্ক।

সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় বিয়ের মাত্র চার বছরের মাথায়। বিবাববিচ্ছেদের পরে তাই অবসাদের অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিলেন সামান্থা। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব খারাপ ভাবনা চিন্তা ভিড় করে আসত মনের মধ্যে। আমি ভাগ্যবতী যে, আমার খুব কাছের কিছু মানুষ ওই সময়ে আমার পাশে ছিলেন।’ 

সামান্থার দাবি, ‘আমি আমার বিয়েতে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছিলাম। তার পরেও আমার সম্পর্ক ভেঙে যায়।’ তবে সামান্থা জানান, এখন সেই অন্ধকার সময় থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছেন তিনি। এখনো নাকি মাঝেমধ্যে খারাপ চিন্তা মাথায় ঘোরে তার। তবে, আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন তিনি।

দিন কয়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় নাগা চৈতন্য ও তার বর্তমান চর্চিত প্রেমিকা শোভিতা ধুলিপালার ছবি। নাগা চৈতন্যর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন এক নামী রেস্তরাঁর শেফ। সেই ছবিতে দেখা যায়, ঠিক পেছনের টেবিলেই বসে রয়েছেন অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালা। নাগা চৈতন্যর ছবিতে শোভিতাকে দেখতে পাওয়ার পরেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ছবি। দুই তারকার দীর্ঘ দিনের প্রেমের জল্পনায় কি তবে সিলমোহর পড়ল? কৌতূহলী হয়ে ওঠেন অনুরাগীরা।

তবে ভাইরাল হওয়ার পরেই রন্ধনশিল্পীর ইনস্টাগ্রামের পাতা থেকে উধাও হয়ে যায় ওই ছবি। গত বছর থেকেই তাদের দু’জনের প্রেমের গুঞ্জনে সরগরম বলিপাড়া। তবে সামাজিক মাধ্যম থেকে ছবি সরে যাওয়ার ঘটনায় স্পষ্ট, এখনই নিজেদের সম্পর্ক ‘অফিশিয়াল’ করতে চাইছেন না নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা।

এমএ