ব্যাক ব্রাশ করা চুল, পাতলা গোঁফ, একেবারে সুটেড, বুটেড। চল্লিশের দশকের হিন্দি ছবির বাঙালি প্রযোজক শ্রীকান্ত রায় ওরফে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এটাই তার প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজ। আর প্রথমে এসেই সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন বুম্বাদা। তার প্রত্যেকটি ফ্রেমই অসাধারণ।

কথা হচ্ছে, আমাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া নতুন সিরিজ ‘জুবিলি’ নিয়ে। চল্লিশের দশকের বম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে পরিচালক বিক্রম মোতওয়ানির এই সিরিজ। বিক্রম এই সিরিজে ফিরিয়ে এনেছেন চল্লিশের দশক। তা পোশাক-আশাক, শিল্প নির্দেশনা সবেতেই। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় ছাড়াও এই সিরিজে রয়েছে অদিতি রাও হায়দরি, অপারশক্তি খুরানা, সিদ্ধান্ত গুপ্ত, রাম কাপুর, শ্বেতা বসু প্রসাদ, ওয়ামিকা গাব্বির মতো অভিনেতারা। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের ৫টি এপিসোড। পরের সপ্তাহে মুক্তি পাবে আরো ৫ এপিসোড। মুক্তি পাওয়া এই পাঁচ এপিসোডই হাতের মুঠোয় রাখলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

টলিউডে তাকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলেও ডাকা হয়। ‘জুবিলি’ সিরিজে সেই ইন্ডাস্ট্রি নামডাকটি যেন অবতারে নিয়ে আসলেন প্রসেনজিৎ। আদব-কায়দা থেকে শুরু করে সংলাপ বলার কায়দাতে তিনি যেন সুপারস্টার প্রসেনজিৎ কম, সিরিজের স্টারমেকার প্রযোজক শ্রীকান্ত রায় বেশি। প্রতিটি ফ্রেমেই তার দাপট স্পষ্ট। এই সিরিজ কিন্তু অনেকটাই প্রসেনজিতের কাঁধে চেপে এগিয়ে চলে। বেশ কিছু দৃশ্যে অপলক তাকিয়ে থাকতে হয় তার অভিনয়ের দিক। প্রথম হিন্দি সিরিজে প্রসেনজিৎ বুঝিয়ে দিলেন বড়পর্দা হোক কিংবা ওটিটির পর্দা, অভিনয়ই শেষ কথা।

প্রথম ৫ এপিসোডেই ‘জুবিলি’ কিন্তু সাড়া জাগিয়েছে। এবার পালা শেষ এপিসোডে কতটা আগ্রহ ধরে রাখতে পারে এই সিরিজ। বিশেষ করে দর্শকরা অধীর আগ্রহে বসে আছেন প্রসেনজিতের আরো চমকের জন্য।

এমএ