আকবর হোসেন পাঠান ফারুক / ছবি : সংগৃহীত

দুই বছরেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎধীন ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।

দীর্ঘ চিকিৎসায় থাকা ফারুক চলতি বছরের শুরুর দিকে কিছুটা সুস্থবোধ করেছিলেন। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা মার্চে দেশে ফিরবেন তিনি। কিন্তু নিয়তি সুস্থ-সবল ফারুককে দেশে ফিরতে দেয়নি। ফিরছে তার নিথর দেহ। সোমবার (১৫ মে) সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চিকিৎসা চলারকালীন এ বছরের শুরুর দিকে কিছুটা সুস্থ বোধ করেছিলেন ফারুক। তখন দেশে ফেরা নিয়ে ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান জানিয়েছিলেন, ‘দেশে আসার জন্য ফারুক উদগ্রীব। জমে আছে সংসদীয় এলাকার অনেক কাজকর্ম। দেশে ফিরে কাজগুলো সারবেন বলেছেন। আগামী মার্চের মাঝামাঝি দেশে আসার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে টাকা সংস্থানের ওপর। দেখা যাক কী হয়।’

জানা যায়, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সম্পত্তি বিক্রি করার পাশাপাশি ব্যাংকের জমানো টাকাও খরচ করতে হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।

তবে কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ফারহানা পাঠান। তিনি বলেছিলেন, ‘হাসপাতালের বিল দিতে পারছি না এটা একদমই ঠিক নয়। এমন কথা যেন না লেখা হয়। এখন আমরা পারিবারিকভাবে হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে টাকা যোগাড় করে আনতে গেলেও একটু সময় লাগে। তার মানে এমনটি নয় আমরা বিল পরিশোধ করতে পারছি না।’

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালে। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একজন মিয়া ভাইয়ের আবিভাব ঘটে।

২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিস্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানাবিধ সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।

এসএম