বলিউড পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বহুল আলোচিত সিনেমা কেনেডির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হলো ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেনেডি-র স্ক্রিনিংয়ে দেখানো হয় সিনেমাটি। একটানা ৭ মিনিট ধরে টিম কেনেডি-কে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ দিল কান। ছবি শেষ হতেই হলে উপস্থিত দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানান।   

কান চলচ্চিত্র উৎসবের মিডনাইট স্ক্রিনিং বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে ‘কেনেডি’। ছবির স্ক্রিনিংয়ের দিন প্রেক্ষাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভরা। এই ছবি থেকে মন্ত্রমুগ্ধ জনতা। চলতি বছর মার্টিন স্কোরসেজি-র ‘কিলার অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন' এবং জনি ডেপের কামব্যাক ছবি ‘জ্যঁ ডু ব্যারি’ এই বিরল কীর্তি গড়েছিল। এবার এই গ্রেটদের পাশে নাম জুড়ল অনুরাগের ছবি, যা বড় পাওনা গোটা ‘কেনেডি’ টিমের কাছে।

বিনোদনের বিশ্বমঞ্চে স্ব-মহিমায় নাম খোদাই করতে পেরে আপ্লুত অনুরাগ। এই প্রসঙ্গে ‘দ্য ফিল্ম কম্পানিয়নকে পরিচালক বলেন, ‘কানের আঙিনায় গোটা বিশ্বকে তোমার ছবি দেখাতে পারার আনন্দই আলাদা। আর দ্য় গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ছবির স্ক্রিনিং তো সব পরিচালকের সারাজীবনের স্বপ্ন। কেনেডি আমার কাছে খুব স্পেশাল একটা ছবি, ভীষণরকমভাবে ব্যক্তিগতও। আমি এই ছবিটা তৈরি করতে হৃদয় উজাড় করে দিয়েছি। ৭ মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশনে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই দর্শকদের, একই সঙ্গে আমি দারুণ উত্তেজিত’।

এই ছবিতে অনিদ্রা রোগে ভোগা এক প্রাক্তন পুলিস অফিসারের গল্প উঠে এসেছে। দুনিয়ার চোখে বহুদিন আগেই মৃত তিনি, তবে দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে অগোচরেই লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। সেই চরিত্রেই রয়েছেন রাহুল ভাট। 

যদিও এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অনুরাগ কশ্যপ জানান, অভিনেতা বিক্রমের কথা মাথায় রেখে এই ছবির চিত্রনাট্য লেখেন তিনি। এমনকি বিক্রমের ডাকনাম কেনেডি, সেই কারণেই এই ছবির নাম রাখা হয় কেনেডি। তবে পরিচালক জানান, শত চেষ্টা সত্ত্বেও এই চিত্রনাট্য নিয়ে আগ্রহ দেখাননি বিক্রম, তিনি দক্ষিণী তারকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তারপর এই ছবির অফার নিয়ে রাহুল ভাটের কাছে যান অনুরাগ। স্ক্রিপ্ট পড়ে দারুণ উত্তেজিত ছিলেন রাহুল।

তিনি বলেন, ‘এই চরিত্রটা কে করছে?’ অনুরাগ তাকে সেটি অফার করলে নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারেননি রাহুল। অনুরাগ জানান, জীবনের ৮ মাস এই ছবির স্বার্থে উজাড় করে দিয়েছেন অভিনেতা।

যদিও এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার পর বিক্রম সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। অভিনেতা জানান, অনুরাগ কশ্যপকে এক বছর আগেই ফোনে সত্যিটা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুরাগীদের মধ্যে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না তৈরি হয় তাই ফের সবটা জানাচ্ছেন। যে ফোন নম্বরে অনুরাগ তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন তা দু-বছর আগে বদলে ফেলেছিলেন অভিনেতা, আর যে ই-মেল আইডি'তে অনুরাগ মেল করেছিলেন সেটিও আর ব্যবহার করেন না তারকা। সেই নিয়েই যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি। অনুরাগ তার সঙ্গে একটি ছবির বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তা জানা মাত্রই যোগাযোগ করেছিলেন বিক্রম, সে কথাও মনে করান অভিনেতা।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

এসকেডি