ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ভঞ্চ কলা মণ্ডপে চলছিল এক ধ্রুপদী নৃত্যের অনুষ্ঠান। শুক্রবার অনুষ্ঠান চলাকালে মর্মান্তিক ঘটনায় মঞ্চেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ভারতনাট্যম গুরু শ্রী গণেশান। মালয়েশিয়া থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনদিন আগে ভুবনেশ্বরে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

ভারত-সফরের তৃতীয় দিন এই নাচের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দ্বিতীয় পর্বের নাচ শুরুর আগে জগন্নাথ প্রভুর সামনে প্রদীপ প্রজ্বলনের জন্য মঞ্চে উঠেছিলেন ৬৩ বছর বয়সী নৃত্যগুরু। 

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পারফর্মও করেন নৃত্যশিল্পী। মিনিট কয়েক পরে সেই মঞ্চেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে পাশের ক্যাপিটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় এ বিদেশি নৃত্যশিল্পীর। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। 

জানা গেছে, গুরু কে জি সারসার কাছে মাদ্রাস (অধুনা চেন্নাই)-এ ভারতনাট্টমের তালিম নিয়েছিলেন (১৯৭৯-১৯৮৯) শ্রী গণেশান। এরপর কুয়ালালামপুরে গিয়ে বিদেশে ভারতীয় সংস্কৃতি ও নৃত্য়শৈলীকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। সেখানে গড়ে তোলেন ‘শ্রী গণেশালয়’। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই নৃত্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজারেরও বেশি ভারতনাট্যম শিল্পীকে গড়ে তুলেছেন তিনি। 

থাইল্যান্ডের রাজকুমারীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রামায়ণ ডান্স ফেস্টিভ্যাল'-এ (১৯৯১) অংশ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন শ্রী গণেশান ও তার সুযোগ্য শিষ্যরা। এখনও পর্যন্ত ৩৫০-টিরও বেশি নৃত্যনাট্য পরিচালনা করেছেন প্রয়াত নৃত্যশিল্পী। অনুষ্ঠান করেছেন বিশ্বের নানান প্রান্তে। আজীবন নাচের সাধনা করেছেন শ্রী গণেশান।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শ্রী গণেশানের, প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর কার্যত শোক-স্তব্ধ অনুষ্ঠানে হাজির দর্শক থেকে নৃত্যশিল্পীরা।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

এসকেডি