বলিউড বা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে তারকা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তির সঙ্গে অর্থেরও অভাব থাকে না। কিন্তু পরিশ্রম আর প্রতিভার যোগফলে শীর্ষে পৌঁছনোর আগের লড়াইটাও কম নয়। সাফল্যের দৌড়ে বলিউডের অভিনেতারাই যে শুধু এগিয়ে আছেন এমনটা নয়। দক্ষিণের তারকাদের উপার্জনও এখন আকাশছোঁয়া।

দক্ষিণী অভিনেতা যশকেও কঠোর পরিশ্রম করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়েছে। এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হলেও এই জায়গায় পৌঁছতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়েছে তাকে।

১৯৮৬ সালের ৮ জানুয়ারি কর্নাটকে জন্ম যশের। আসল নাম নবীন কুমার গৌড়া। তার অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্তে প্রথম দিকে খুব খুশি ছিল না পরিবারও। যশের বাবা কর্নাটকের রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে চালক ছিলেন।

১৬ বছর বয়সে, বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন যশ। কাজ শুরু করেন সহকারী পরিচালক হিসাবে। কিন্তু কাজটি বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ। যশ যোগ দেন একটি নাট্যদলে, চলতে থাকে অভিনয়ের শিক্ষা। একটা সময়ে মঞ্চের পেছনে কাজ করেছেন তিনি। তখন প্রতি দিন ৫০ টাকা করে পেতেন।

২০০৫ সালে ‘উত্তরায়ণ’ নামে একটি টিভি শো-তে কাজ শুরু করেন যশ। ‘নন্দ গোকুল’ ধারাবাহিকে এরপর কাজ করেন তিনি। রাধিকা পণ্ডিতও ছিলেন সেই ধারাবাহিকে।

২০০৭ সালে ‘জামবাবা হুড়ুগি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন যশ। এর পর ‘রকি’ (২০০৮) ছবিতে তার অভিনয়ের বিপুল প্রশংসা হয়। এখন নাকি দক্ষিণের ছবির এই মহাতারকার পারিশ্রমিক ছবিপিছু ২০ কোটি টাকা! ‘কেএফজি’ ও ‘কেএফজি ২’-এর পর যশ খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন। সেরা পরিচালকেরা তার সঙ্গে কাজ করবেন বলে মুখিয়ে থাকেন।

২০১৬ সালে রাধিকাকে বিয়ে করেন যশ। স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে এক দিকে যেমন পারিবারিক জীবনে সুখী তিনি, তেমনই পেশার জায়গাতেও অব্যাহত রেখেছেন সাফল্যের জয়যাত্রা।

ওএফ