দাম্পত্য কলহের জেরে প্রথম সংসার ভেঙে যায় চঞ্চল চৌধুরীর! এরপর সুখের খোঁজে করেন দ্বিতীয় বিয়ে। এখানেও সুখ নেই তার। এরমধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে। এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘প্রাক্তন’। এতে রবিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

গল্পে দেখা যাবে, রবিন আর কাজলের সংসার ভেঙেছে চার বছর হলো। তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান রিয়ানা। তার বয়স ৬ বছর। রিয়ানা মায়ের কাছেই থাকে। যখন ইচ্ছে হয় বাবা এসে দেখে যায়। যদিও সালিশে সিদ্ধান্ত হয়েছে সন্তান পর্যায়ক্রমে বাবা-মা দুজনের কাছেই থাকবে। প্রথম প্রথম রবিন মেয়েকে তার কাছে নিয়ে রাখত। এক বছর পর রবিন আবার যখন নতুন করে সংসার পাতে তখন সেই সংসারে রিয়ানাকে আর নেয়নি। যদিও আগের সংসার সন্তানের কথা সবই জানে দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে কাজল এখনো একাই আছে, বিয়ে করেনি।

আইন অনুযায়ী সন্তানের ভরণ-পোষণের সকল খরচ রবিনই বহন করে। সন্তানের কারণেই রবিন ও কাজলের প্রতিমাসেই দেখা হয়, কথা হয়। ধীরে ধীরে ওদের বৈরী সম্পর্কটা শিথিল হতে থাকে। এক পর্যায়ে সম্পর্কটা বন্ধুত্বে রূপ নেয়। দুজন দুজনের সুখ-দুঃখ ভালো-মন্দ ভাগ করতে থাকে। নতুন সংসারে যে রবিন ভালো নেই সেটাও শেয়ার করতে দ্বিধা করে না। দ্বিতীয় সংসারও যদি ভেঙে যায় মানুষ নানা কথা বলবে নিছক সেই ভয়েই সংসারটা চালিয়ে যাচ্ছে রবিন।

কাজলও সুপাত্র পায়নি বলে নতুন করে আর সংসার পাতা হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া সন্তানসহ একটা মহিলার বিয়ে হওয়া আমাদের সমাজে এত সোজা না সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কাজল।

টেলিফিল্মটি নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘গল্পটা মনস্তাত্ত্বিক। কিছুটা ভাবাবেগ আছে। সুন্দর একটি বার্তাও রয়েছে। আমার বিশ্বাস, এটি মানুষের মনে দাগ কাটবে।’

আজ (রোববার) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচারিত হবে ‘প্রাক্তন’ টেলিফিল্মটি। এতে চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে কাজল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সারিকা। সাজিন বাবুর রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।

কেএইচটি