জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল খুব সম্ভাবনা নিয়ে। নাটক, টেলিফিল্ম-বিজ্ঞাপনচিত্র থেকে শুরু করে সিনেমায় অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন তিনি।

অভিনেত্রী হিসেবে এত সফলতা পেলেও আজকাল কাজের জন্য তেমন ডাক পান না তিনি। আবারও কোথাও নতুন কোনো প্রজক্টে যুক্ত হতে গেলেও কেউ কেউ তাকে সেখান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নোংরা খেলায় মেতে উঠছেন বলে অভিযোগ করেছেন নওশাবা।

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে এসব কেন হচ্ছে জানি না। অনেক পান্ডুলিপি হাতে পাওয়ার পর সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েও কাজ করতে পারিনি। এ পর্যন্ত কত কাজ থেকে যে বাদ পড়েছি সেটা একমাত্র আমিই জানি। এসব কথা কারও সঙ্গে শেয়ারও করি না। কষ্টটা নিজে নিজে হজম করে যাচ্ছি।’

নওশাবা বলেন, “কিছুদিন আগে অনন্য মামুনের ‘কসাই’ সিনেমাটি হাতে নেওয়ার পর কয়েকজন তাকে ফোন করে বলেন যেন আমাকে না নেওয়া হয়। আমি নাকি একটা সমস্যা। কিন্তু অনন্য মামুন তাদের বলেছেন, দেখি কি সমস্যা হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকে নিয়ে কাজটি করেছেন।”

তিনি বলেন, “ওই চক্রটি রটিয়ে বেড়াচ্ছে, আমি থাকলে নাকি সেন্সর বোর্ড সিনেমা আটকিয়ে দেয়। কিন্তু ‘কসাই’ তো ঠিকই সেন্সর পেয়েছে। এক পরিচালক বলেছেন, নওশাবাকে সিনেমায় নিয়ে একটি মহলে তাকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, অনেক জবাবদিহি করতে হয়েছে। আমার দোষটা কোথায় জানি না। আমি তো নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই প্রতিটি কাজ করি।’

নওশাবা বলেন, ‘কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে এসব রটানোর কারণে আরও নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই এর ফায়দা নিতে চায়। নানা কথা বলে আমাকে এমন পারিশ্রমিক অফার করা হয়, যা একজন জুনিয়র শিল্পীর চাইতেও কম।’

এত কিছুর পরও আত্মবিশ্বাসের সুর এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে, “আমি ভারতের ‘হৈচৈ’-এর জন্য কাজ করে এসেছি। কই কেউ তো বাধা দিল না। গুজব রটিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। আমি দমে যাওয়ার মতো মেয়ে আমি নই। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে আমি আমার সামনের করণীয় ঠিক করছি।”

উল্লেখ্য, নওশাবা সম্প্রতি পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। একটি সংবাদপত্রের জন্য ‘আলোর খোঁজে’ শিরোনামের একটি বিশেষ মিউজিক্যাল ফিল্ম নির্মাণ করেন তিনি। যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন শফি মন্ডল ও বাম্মী রহমান। কাজটির জন্য সবার প্রশংসাও পাচ্ছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তারকা।

আরআইজে