ফরিদ আহমেদ, ছবি : মোহসীন আহমেদ কাওছার

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসাপাতালে ভর্তি হন দেশের গুণী সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। শুরুতে বেশ জটিল অবস্থায় থাকলে বর্তমানে তার অবস্থান বেশ উন্নতি হয়েছে।

৭ এপ্রিল সকালে ফরিদ আহমেদের স্ত্রী মিসেস শিউলী আক্তার বলেন, ‘সবার দোয়ায় তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। খাওয়া দাওয়াও নিয়মিত করতে পারছেন। তবে শরীর অনেকটাই দুর্বল। যে কারণে বসে থাকতে পারছেন না। সার্বক্ষণিক তাকে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। আশা করছি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

আশা করা যাচ্ছে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর বাসায় গিয়ে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন তিনি। শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার কাজে ফেরা হবে না। 

সুর করার ক্ষেত্রে ফরিদ আহমেদকে উৎসাহ দিতেন কুমার বিশ্বজিৎ। যে কারণে ফরিদ আহমেদ তার গানেরই প্রথম সুর করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত বহু গানের সুর করেছেন তিনি। করেছেন সংগীতায়োজনও।

ফরিদ আহমেদের করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ইত্যাদি’র টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’,‘ আমি তোরই সাথে ভাসতে পারি মরণ খেয়ায় একসাথে’, রুনা লায়লার গাওয়া ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা সাবিনার কন্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ে ‘আজ জন্মদিন’, ক্ষুদে গান রাজ’র ‘থিম সং’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’র থিম সং, সেরা কণ্ঠ’র থিম সং প্রভৃতি।

অনেক নাটক, টেলিফিল্ম সিনেমার জন্য গান বানিয়েও সফল হয়েছেন ফরিদ আহমেদ। গানের পাশাপাশি সংগীত সংশ্লিষ্টদের বিপদে-আপদে খোঁজখবর আর সহায়তা করার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। এখন তার সুস্থতার অপেক্ষায় বন্ধু-শুভাকাঙক্ষীরা।

আরআইজে