রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হককে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ছায়ানটে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকর্মী, বন্ধু ও স্বজনরা। সেখান থেকেই বিদায় জানানো হয় শিল্পীকে। 

রাজধানীর ছায়ানট ভবনে মিতা হকের মরদেহ নেওয়া হয়েছিল বেলা ১১টায়। পরিবারের সদস্য ছাড়াও শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে ছুটে এসেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ (১১ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে মিতা হককে। 

ছায়ানটে মিতা হককে শ্রদ্ধা জানাতে যান বাপ্পা মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর

ছায়ানটের সঙ্গে মিতা হকের ছিল আত্মার সম্পর্ক। প্রতিষ্ঠানটির রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। এছাড়া দায়িত্বপালন করেছেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে। এছাড়া সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল ছিল এই শিল্পীর। 

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার প্রায় বিশটি অ্যালবামের বেশির ভাগই প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা থেকে। ‘সুরতীর্থ’ নামে একটি গানের স্কুলও রয়েছে তার।

মিতা হকের বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। তার মোট ২৪টি একক অ্যালবাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।

এমআরএম