বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজে অবদান রাখছেন সারবিশ্বের এমন বিশেষ মানুষদেরকে, বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে আসছে ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি।

এবার এই সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করলেন বাংলাদেশের ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম এমপি। ১০ এপ্রিল (শনিবার) এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডঃ পি ম্যানুয়েল তাকে ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদকে ভূষিত করেন। 

মমতাজ বেগম পৃথিবীতে একমাত্র শিল্পী যার আছে আট শতাধিক প্রকাশিত গানের অ্যালবামের বিশ্ব রেকর্ড। ত্রিশ বছর ধরে বাংলা গানের আবেদনকে বিশ্বের আনাচেকানাচে পৌঁছে দেওয়া, সময়ের প্রয়োজনে লোকজ সংগীকে আধুনিকায়ন করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার কৃতিত্ব তাকে এনে দিয়েছে দেশ-বিদেশের অনেক সম্মাননা। পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার। সমাজ সচেতনতামূলক গানে তিনি ইতিবাচক মানসিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। এইসব কারণেই তাকে এবছর ‘ডক্টর অব মিউজিক’পদকে ভুষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

একই সময়ে এই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থিরু এজে মুরুগানানথাম, তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব ক্বাদিরী, কেরালা ডঃ এপিজে আবুল কালাম ইন্সটিটিউট অব বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালক উইলাত কোরাইয়া।  অনুষ্ঠানে চেন্নাই, তামিলনাড়ু ও দিল্লীর বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

গান-রাজনীতির বাইরেও সমাজকর্মী হিসেবে মমতাজের অবদান অনেক। মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল’। ২০০৮ সালে সিঙ্গাইর উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ শিশু ও চক্ষু হাসপাতাল’। বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি তিনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকে। আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা সংস্থা অরবিসের দৃষ্টিদূত ও অস্ট্রেলিয়ার একটি শিক্ষাবিষয়ক সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী।

আরআইজে