ফ্ল্যাট প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় শেষ পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আলিপুর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে না চেয়ে আলিপুর জজ কোর্টে আবেদন করেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিন্ম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারক। 

যদিও আগামী ২৪ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। তবে তার আগেই আইনজীবীকে নিয়ে আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান এ অভিনেত্রী।

আলিপুর আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় এদিন ৪ হাজার টাকার সিকিউরিটি বন্ডে জামিন নিয়েছেন নুসরাত।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরাত। তখন ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে অবসরপ্রাপ্ত ৪২৯ জন ব্যাংক কর্মীদের কাছে টাকা তোলে সেই সংস্থাটি। প্রত্যেকের কাজ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। মোট ২৩ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে সেই ফ্ল্যাট আজও তারা পাননি। এর পর নুসরাতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই ব্যাংক কর্মীদের নিয়ে ইডির দপ্তরেও গিয়েছিলেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ও ইডির গোয়েন্দারা। ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’র অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল সাংসদকে ডেকেও পাঠিয়েছিল ইডি। গত বছর সেপ্টেম্বরে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরাতকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন নুসরাত। তিনি জানান, অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি জানান, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধও করে দিয়েছেন।

এমএসএ