দেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। যদিও এই সংগীতশিল্পী জানিয়েছেন, নিয়মিত চেকাপের জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। সেখান থেকেই একটি অডিওবার্তায় শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০০৭ সালে আমার অসুস্থতার কথা। তারপর থেকে প্রতিবছর নিয়মিত চেকাপের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি৷ তবে এবার চেকাপে এসে আমার দাঁতের একটা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসক আমাকে সেটা রিমুভ করতে বলেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমার ছোট একটি সার্জারি সম্পন্ন হয়।’

অসংখ্য কালজয়ী গানের এই শিল্পী বলেন, ডাক্তারের সাথে আমার পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট মার্চের ১৫ তারিখে৷ ততোদিন পর্যন্ত আমি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণেই থাকবো। অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর চিকিৎসক যেভাবে বলবেন, সেভাবেই চলবো। তারপরই আপনাদের দোয়ায় দেশে ফিরে আসবো ইনশাআল্লাহ।

এসময় সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সবার প্রতি অনুরোধ, অযথা কেউ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াবেন না। যা আমার ভক্তদের জন্য কষ্টের কারণ হয়।’

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এই শিল্পী প্রথম ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তখন দেশ-বিদেশ মিলিয়ে সবার উদ্যোগে সঠিক চিকিত্সার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর থেকে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে ভালোই আছেন তিনি। 

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গান গাইছেন সাবিনা ইয়াসমিন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও শিল্পকলার সংগীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। 

এ শিল্পীর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—সব সখীরে পার করিতে, এই পৃথিবীর পরে, মন যদি ভেঙে যায়, ও আমার রসিয়া বন্ধুরে, জীবন মানেই যন্ত্রণা, জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো, সব ক’টা জানালা খুলে দাও না, ও আমার বাংলা মা, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার প্রভৃতি। সাবিনা ইয়াসমিন শেষ প্লেব্যাক করেছেন কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিতে।

এনএইচ