নিজের শেষ দিনগুলোতেও পরিবারকে পাশে পেলেন না টলিউড অভিনেতা পার্থসারথি দেব। আক্ষেপ নিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তিনি। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন এই অভিনেতা। 

ভারতীয় গণমাধ্যমে তার মৃত্য়ুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র। এছাড়া আর্টিস্ট ফোরামের এক বিবৃতিতেও পার্থসারথির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মারা গেছেন পার্থসারিথ দেব। তার অকাল প্রয়াণে ফোরাম গভীর শোক জ্ঞাপন করছে। আজ ২৩ মার্চ, ২০২৪ টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে ১২টার সময় অভিনেতার নশ্বর দেহ রাখা থাকবে। অভিনেতার প্রিয়জন, সতীর্থ, গুণগ্রাহীরা সেসময় স্টুডিওতে এসে শেষ শ্রদ্ধা ও মাল্যদান করতে পারেন।’ 

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি দেব। প্রবল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তার। হাসপাতালে এই অভিনেতার দেখাশোনা করেছিলেন কলকাতার আরেক অভিনেতা বাপি দাস। 

সে সময় হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেছিলেনম ‘পার্থ দা দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডির সমস্যায় জর্জরিত। তার সঙ্গে বুকে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া দুটোই ধরা পড়েছে। আমি ও আর্টিস্ট ফোরাম ছাড়া পার্থ দার পাশে কেউ নেই। আর্থিক সাহায্য করছে ফোরাম। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনোরকম সাড়া পাইনি।’

অভিনেতার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্রসহ তার বিভিন্ন সহশিল্পীরা।জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘চলে গেলেন একজন অসাধারণ অভিনেতা পার্থসারথি দেব। থাক আজ আর আমাদের সেসব দিনের কথা বলব না কমরেড।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে ২০০’র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছন পার্থ সারথি দেব। মঞ্চেও সমান সাবলীল তিনি। হালে ‘চুনী-পান্না’, ‘জয়ী’, ‘মিঠাই’র মতো জনপ্রিয় মেগাতেও নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন এই অভিনেতা। তার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন সহকর্মীরা।

এনএইচ