সংগীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ী গাওয়া ‘জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে আজ’ রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন এক নেটিজেন। বলেছেন, ‌‘এটা শুনলে কবিগুরু গীতবিতান ছুড়ে মারতেন।’ 

শিল্পীকে উদ্দেশ করে নেটিজেন লিখেছেন, কিছু মনে করবেন না, একটা ৬.৩৮ মিনিটের গানে ২.০৮ মিনিট প্রিলিউড বাজছে, এটা শুনলে কবিগুরু গীতবিতান ছুঁড়ে মারতেন। পারলে একবার জর্জ বিশ্বাস শুনে নেবেন। তার এ মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী।

সাহানা লিখেছেন, ‘কাকে ছুড়ে মারতেন? আমাকে? না না মনে কেন করব? আপনি একদম সঠিক বলেছেন। গান শোনার এখন একটা সুবিধাও হয়েছে। আপনি না শুনতে চাইলে স্বচ্ছন্দে অন্য গানে চলে যেতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ আমাকে গীতবিতান ছুড়ে মারতে চাওয়ার মতো একজন নারীকে এরকম ভায়োলেন্ট কথা বলতে হতো না একটা গান গাওয়ার জন্য জনসমক্ষে। তবে আপনাকে চিনতে গিয়েছিলাম আপনার প্রোফাইলে। আপনার এই বক্তব্যে আমি একেবারেই বিস্মিত নই আর। আর আমি পারলে কাকে শোনাবো বা আমার গান শোনার পরিসর বিষয়ে আপনাকে মতামত না দিলেও চলবে। ধন্যবাদ।’

ওই ব্যক্তির মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে সাহানা লিখেছেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি ৬.৩৮ মিনিটের একটি গানের জন্য ২.০৮ মিনিটের প্রিলিউডসহ আমার ‘আজ জ্যোৎস্নারাতে’ গানটি শুনতেন তবে তিনি হয়তো তার গীতবিতানটি আমার দিকে ছুড়ে দিতেন। আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা একমাত্র উদ্দেশ্য। আমি এই লোকটির প্রোফাইলে গিয়েছিলাম এবং মোটেও অবাক হইনি! তাই উত্তর দিলাম!’

নেটিজেনের এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাহানার অনুরাগীরাও। এক ব্যক্তি পোস্টে লিখেছেন, ‘রবি ঠাকুর বোধহয় স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন। আশ্চর্য রকমের সেলফ অবসেসড লোকজন আজকাল! সব জানি সব বুঝে গেছি আমিই ঠিক- প্রমাণে ব্যস্ত! আর নারী পাইলে তো কথাই নাই : ইগো স্যাটিসফাই করাটা যেন জরুরি হয়ে দাঁড়ায়! নামটা ঢাকলে কেন? খোঁচাতে এসেছে যখন পাবলিকের খোঁচা অপেনলিই খাক’।

এমএ