‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এ ফিরে এল বনদেবতার আদিম গর্জন, তোলপাড় নেটপাড়া
হম্বলে ফিল্মস অবশেষে ফিরিয়ে আনছে কান্তারার জগতে— তবে এবার আরও গভীরে, আরও পুরোনো কালে। ঋষভ শেট্টির জন্মদিনে প্রকাশিত হল ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এর প্রথম ঝলক— যেখানে দেখা মিলল তার আগুনচোখা, তরবারিধারী এক মধ্যযুগীয় যোদ্ধার রূপে!
২০২২-এর কানতারা যেখানে শেষ হয়েছিল, ‘চ্যাপ্টার ১’ শুরু হবে তার বহু আগে। এই গল্প তুলে ধরবে দেবতা, বিশ্বাস, জমি এবং মানুষের অস্তিত্বের লড়াই— যেখানে প্রকৃতি নিজেই হয়ে ওঠে সাক্ষী এবং শাস্তিকারী।
বিজ্ঞাপন
পোস্টারে ঋষভ শেট্টি যেন কোনও এক অতিপ্রাকৃত যুদ্ধের দেবতা, যেখানে বিশ্বাস আর রক্ত একাকার। এ ছবির শুটিংয়ের যাত্রা একেবারেই মসৃণ ছিল না — বন দফতরের নোটিস, নৌকাডুবি, এবং এক জুনিয়র আর্টিস্টের মর্মান্তিক মৃত্যু। তবু সব বাধা পেরিয়ে ঘোষণা এসেছে— ছবির মুক্তি দিন ঠিকই থাকবে।
অভিনেতা ও পরিচালক রিশভ শেট্টি-র জন্মদিনে হোমবালে ফিল্মস প্রকাশ করল বহু প্রতীক্ষিত প্রিক্যুয়েল ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এর প্রথম পোস্টার— আর সেই মুহূর্তেই ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিজ্ঞাপন
পোস্টারে দেখা গেল, এক রহস্যঘন, চোখে আগুন ধরা যুদ্ধবাজ রিশভ শেট্টিকে— হাতে তরোয়াল, কাঁধে মহাকাব্যিক রাগ, আর পিছনে তাণ্ডবের আগুন।
পোস্টের ক্যাপশনে ছবি প্রযোজনা সংস্থা লিখল— “যেখানে জন্ম নেয় কিংবদন্তিরা, আর জঙ্গলের গর্জন প্রতিধ্বনিত হয় — সেখানেই শুরু কান্তারার মহাকাব্য।”
ঋষভ শেট্টি নিজেই এই ছবির চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও মুখ্য অভিনেতার ভূমিকায়। প্রযোজনা করেছেন বিজয় কিরাগান্দুর এবং চালুভে গৌড়া।
ছবিতে থাকছে এমন সব যুদ্ধদৃশ্য, যা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নজিরবিহীন। সিনেমাটিতে রয়েছে এক বিশাল স্কেল-এ যুদ্ধদৃশ্য— জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোরিওগ্রাফারের নেতৃত্বে ৫০০ যোদ্ধা এবং ৩০০০ জন অংশগ্রহণকারীর মাধ্যমে হবে সেই দৃশ্যায়ন।
চলতি বছরের ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তী এবং দশেরা উপলক্ষে এই প্রিক্যুয়েল বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে বড়পর্দায়।
এনএইচ