১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ এখনো তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়। সময় বদলেছে, সিনেমার ভাষা বদলেছে, তবুও আমির খান ও জুহি চাওলার প্রথম ছবি এই ক্লাসিক প্রেমকাহিনি এখনো দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে আছে। 

নাসির হুসেন পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তির সময় বলিউডে নতুন ধারা তৈরি করেছিল। তখনকার দিনে এটি ছিল একাধারে প্রেম ও বিদ্রোহের গল্প; যা আমির-জুহিকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’-এর সাফল্যের হাত ধরেই বলিউডে নতুন করে ফিরে আসে পারিবারিক বিরোধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া নিষিদ্ধ প্রেমের গল্পের ধারা।

বিশ্লেষকদের মতে, ছবিটি আজও প্রাসঙ্গিক কারণ এর গল্পের সরলতা ও আবেগ বাস্তবের কাছাকাছি। আজকের অনেক সিনেমার অতিনাটকীয়তা বা জোরপূর্বক রোম্যান্সের বিপরীতে এই ছবির প্রেম ছিল সহজ, আন্তরিক এবং বিশ্বাসযোগ্য। সেই কারণেই নতুন প্রজন্ম, যাদের ‘জেন জি’ বলা হয়, তাদেরও ছবিটি টানে।

চলচ্চিত্রে প্রতিশোধ, পারিবারিক শত্রুতা ও নিষিদ্ধ ভালোবাসার সংঘাত এমনভাবে দেখানো হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে ‘ইশকজাদে’ বা ‘রামলীলা’-র মতো সিনেমায়ও প্রতিফলিত হয়।

তখনকার সময়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানের প্রসঙ্গ সিনেমায় আনা ছিল এক সাহসী পদক্ষেপ; যা এই ছবিটিকে শুধু প্রেমকাহিনি নয়, বরং এক প্রগতিশীল সামাজিক চলচ্চিত্র হিসেবে আলাদা করে তোলে।

ডিএ