কিংবদন্তি সংগীতশিল্পি কবীর সুমন অসুস্থ। ভর্তি রয়েছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। ঠাণ্ডা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে গত ২৭ জুন রাত থেকেই তিনি হাসপাতালের বিছানায়।

ভর্তির পরই কবীর সুমনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ফল আসে নেগেটিভ। সেই খবরে উদ্বেগের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি পায় ভক্তরা।

এবার কবীর সুমন নিজেই জানালেন তার শারীরিক অবস্থা। হাসপাতালের বিছানা থেকে ফেসবুক লাইভে এসেছেন তিনি। নাকে নল বাঁধা অবস্থায় তিনি ভক্ত-শুভাকাঙ্খীদের বললেন, ‌‘আগে কী হয়েছিল একটু ছোট করে জেনে নিন। আগেই একটু ঠাণ্ডা লেগেছিল। কিন্তু রোববার (২৭ জুন) যেটা হলো, কোনোভাবেই ঢোক গিলতে পারছি না। অসম্ভব ব্যথা গলায়। অন্যকোনও সমস্যা নেই। একদমই ঢোক গিলতে পারছিলাম না; খাবার খাওয়া তো দূরের কথা। কেমন একটা কেলেঙ্কারি অবস্থা! এরপর প্রফেসর সৌমিত্র ঘোষের সঙ্গে কথা হয়। তিনি চমৎকারভাবে বলেন, স্যার হাসপাতালে চলে আসুন।’

খ্যাতিমান এই সংগীতকার জানান, হাসপাতালে আসার পরই চিকিৎসকরা তার ঢোক গিলতে না পারার সমস্যাটি সমাধান করেন। যার ফলে গেলো তিন দিন ধরে অনেকটা সুস্থ আছেন তিনি।

আজ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস। মূলত চিকিৎসকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যই ফেসবুক লাইভে এসেছেন বলে জানান কবীর সুমন। এ সময় এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি।

সুস্থ হয়ে গানে ফেরার বিষয়ে কবীর সুমন বলেন, ‘আমি দ্রুত সেরে উঠছি। শুনতেই পারছেন পাশে তানপুরা বাজছে। আমি যখন পুরোপুরি সেরে উঠতে পারব তখন পুরো সুর লাগাতে পারব। হাসপাতালে আজ সকালেই আমি গুনগুন করে ভৈরবী-ভৈরব, ভাটিয়ালি গাইছিলাম। রাগ প্রতিমা বেঁধেছি। এর মধ্যে রাগ প্রতিমা আমার নতুন সৃষ্টি।’

লাইভে ভক্তদের দু’লাইন গেয়েও শোনান কবীর সুমন। পাশাপাশি প্রশংসা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। বললেন, ‘বাংলা খেয়াল আমার গাইতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা থাকবে যদি মমতা থাকে। আমি যে গাইছি, রাগ তৈরি করছি এর কৃতিত্ব মমতার। বাংলা গান বা সংস্কৃতির এই চর্চা হচ্ছে মমতার জন্যই। আমরা তো হিন্দুস্তানি সংগীতের লোক। আমাদের কাছে ঈশ্বর, আল্লাহর চেয়ে গুরু বড়। আমাদের গুরুরা যে শিক্ষা দিয়েছে সেটাই চর্চা করি। এটাই আমাদের এক ধরনের হজ। দীর্ঘ জার্নি।’

কেআই/আরআইজে