গতকালই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন বলিউডের তারকা জুটি আমির খান ও কিরণ রাও। অবশ্য দাম্পত্যজীবনের এই সমাপ্তিকে সমাপ্তি হিসাবে না দেখে একটি নতুন যাত্রার সূচনা হিসেবে দেখতে চান তারা।  

কিরণ রাওয়ের সঙ্গে ছিল আমিরের দ্বিতীয় সংসার। এর আগে প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গেও ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল আমিরের। ২০০২ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। আমির-রীনার দুই ছেলে-মেয়ে জুনেইদ খান ও ইরা খান। 

রীনার সঙ্গে আমিরের পথচলা শুরু হয়েছিল অনেকটা সিনেমার মতো। তারা প্রতিবেশী ছিলেন এবং একে অপরের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতেন। শেষ পর্যন্ত সাহস করে রীনাকে প্রস্তাব দেন আমির। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন রীনা। একই ঘটনা আরও কয়েকবার ঘটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমির যখন আশা ছেড়ে দিচ্ছিলেন রীনা তাকে জানান, তিনিও রাজি সম্পর্কে। 

রীনা দত্তের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আমির খান একবার রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু এটা দেখে খুশি না হয়ে রেগে গিয়েছিলেন রীনা। আমিরকে তিনি বলেন, এরকম কাজ আর না করতে। তখন আমির বুঝতে পারেন প্রেম প্রকাশের জন্য এটা ঠিক না। 

‘লগান’ সিনেমাটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আমির খান বলেছিলেন, যে ভাবে তার স্বপ্নপূরণ করতে রীনা ‘লগান’-র সময় তার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন, তা তিনি কখনও ভুলবেন না। 'ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তাক' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন রীনা দত্ত। ‘লগান’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজনায় হাতেখড়ি হয় তার।  

২০০২ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পরও আমির-রীনার বন্ধুত্ব ভাঙেনি। তারা পানী ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গেই করেন। ‘কফি উইথ করণ সিজন ৬’-এ এসে আমির খান বলেছিলেন, আমার আর রীনার ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল। যখন আমাদের বিচ্ছেদ হয়, আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। আমাদের জন্য,আমাদের পরিবারের জন্য। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের মতো করে পরিস্থিতি সামলাতে। আমাদের দুজনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান বিচ্ছেদের পরেও কমেনি। 

এনএফ