ঢাকাই সিনেমার নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল একজন পোশাক ব্যবসায়ীও। ৩০ জুলাই (শুক্রবার) চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গার্মেন্টকর্মীদের ফ্যাক্টরিতে আসতে বলেছেন তিনি। এক নোটিশের মাধ্যমে শ্রমিকদের অফিসে আসতে বলেন এই অভিনেতা।

করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই আগামীকাল (১ আগস্ট) থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক তার শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের আগামীকাল (রবিবার) থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন নোটিশে।

‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্ত জলিলের কাজ’-শ্লোগানে প্রচার পাওয়া নায়ক ফেসবুক পেজে নোটিশটি দেওয়ার পর থেকেই তোপের মুখে পড়েছেন। নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করছেন তার। সবার কথার সারমর্ম-চলমান বিধিনিষিধের মধ্যে ঢাকায় ফেরার জন্য নেই কোনও যানবাহন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে কীভাবে আসবে শ্রমিকরা? তাছাড়া করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রায় প্রতিদিনই গড়ছে মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড। এই অবস্থায় অনন্তর এই সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত নয়।

আপন আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই ভাইয়ের কাজ। শ্রমিক আনতে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার বাড়ি বাড়ি যাবে, তবু তাদের নিয়ে আসবেই ভাই।’

কাজী আশ্বাদুন নেওয়াজ রিপন নামে একজন লিখেছেন, ‘কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে! সবাই লকডাউনে উড়ে আসবে?’

ফাতেমা নামের আরেকজনের ভাষ্য, ‘সবসময় বলেন আপনি শ্রমিক বান্ধব- এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটাবার চিন্তা করলেন না, গণপরিবহন না চললে কীভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।’

শামীম ওসমান নামের ক্ষুব্ধ একজন বলেছেন, ‘স্যার, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা ফ্যাক্টরি খোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দিনের পর দিন দৌড়াদৌড়ি করেছেন। অথচ শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপারে কোনও ধরনের সুপারিশ করেননি। আপনারা নোটিশ দিচ্ছেন কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।’

সাদ ইনবে কিবরিয়া নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনাদের কারণে আজকে লকডাউন বিফলে। আপনাদের কারণে এইভাবে শ্রমিকরা ঢাকায় ফেরার পথে করোনা চাষ করছে।’

আরআইজে