টিভি নাটকের সবচেয়ে বড় উৎসব হয় ঈদে। এখন টিভির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউটিউব চ্যানেলও। ফলে নাটক তৈরির সংখ্যা ও মান- বেড়েছে দুটোই। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত কয়েকটি ঈদের মধ্যে এবারই অনেক বেশি মানসম্মত নাটক প্রচার হয়েছে। আর বেশিরভাগ মানসম্পন্ন ও জনপ্রিয় নাটকেরই প্রধান অভিনেতা ছিলেন আফরান নিশো। হিসাব বলছে, এবারের ঈদের শীর্ষ অভিনেতা তিনিই।

সমালোচকদের চোখে এবার ঈদে নিশোর প্রশংসিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘চিরকাল আজ’, ‘কায়কোবাদ’, ‘পূনর্জন্ম’ প্রভৃতি। ৩টি নাটকই নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ। আবার কাজল আরেফিন অমির ‘আপন’ সব ধরনের দর্শকের ভালো লেগেছে। ভিউয়ের বিচারেও এবার সেরা নিশো। তার অভিনীত মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘হ্যালো শুনছেন’ এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪ মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখে ফেলেছে। আবার সবচাইতে দ্রুত গতির ভিউয়ের নাটকও তার। জাকারিয়া সৌখিনের ‘এক মুঠো প্রেম’ এবার ১২ ঘণ্টায় মিলিয়ন ভিউ পার করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুত ভিউ পাওয়া নাটকটিও তার-‘হ্যালো শুনছেন’। এটি মিলিয়ন পার করেছে ১৬ ঘণ্টায়।

সবমিলিয়ে এবার সেরা একটি ঈদ পার করেছেন আফরান নিশো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছুর আশায়। এভাবে নিয়মিত শিখছিও। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই চেষ্টা করে যেতে যাই, শিখে যেতে চাই।’

আফরান নিশোর এবারের ঈদ সবচাইতে ভালো গেলেও তিনি এবারই সবচেয়ে কম-মাত্র ১০টি নাটকে অভিনয় করেছেন। যেখানে তার সমসাময়িক অভিনেতারা প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ নাটকে অভিনয় করেছেন, সেখানে তিনি এত অল্প নাটকে অভিনয় করেও এতটা সফলতার কারণ কী? ফেসবুকে বাংলা নাটক সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে দর্শকের প্রতিক্রিয়া থেকেই এর উত্তর পাওয়া যায়। কারণটি হচ্ছে- বৈচিত্র্যময় অভিনয়, প্রতিটি চরিত্রই একেবারে সত্যিকারভাবে ফুটিয়ে তোলা এবং গল্প নির্বাচনের দুরদর্শিতা।

এ প্রসঙ্গে নিশো বলেন, ‘করোনার কারণে আসলে গত এক-দেড় বছর ধরেই কাজ কম করা হচ্ছে। সরকার যখনই লকডাউন দিয়েছে, আমি শুটিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমি কখনোই সংখ্যা দিকে তাকাইনি। বরাবরই আমি কম কাজে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি। কিন্তু একজন শিল্পী যখন বড় হয়, তার কিছুটা হলেও চাহিদা তৈরি হয়, তখন ইন্ড্রাস্ট্রির চাপে অনেক কাজ হয়তো করতে হয়।’

আরআইজে