ঢাকাই সিনেমার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতি বছর ২৫টি বিভাগে প্রদান করা হয় এই পুরস্কার। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ঘোষণা অনুযায়ী বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার (১৭ জানুয়ারি) বসে ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবারের পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মহমারি করোনার কারণে প্রধান্ত্রমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। 

ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এ দেশের চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু। চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণালী দিন ফিরিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হতে যাচ্ছে, যা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে বন্ধ সিনেমা হল চালু করা, চালু হলের আধুনিকায়ন করা যাবে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করা যাবে এবং এর ফলে দেশে চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হব।’

চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য যৌথভাবে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। পুরস্কার প্রদান তালিকায় আরও রয়েছে শ্রেষ্ঠ সিনেমা ‌‘ন ডরাই’, শ্রেষ্ঠ পরিচালক তানিম রহমান অংশু, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তারিক আনাম খান ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

এছাড়া উল্লেখযোগ্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্র নারগিস আক্তার (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ খল নায়ক জাহিদ হাসান (সাপলুডু), শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক হাবিবুর রহমান (মনের মত মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ গায়ক মৃনাল কান্তি দাস (শাটল ট্রেন), শ্রেষ্ঠ গায়িকা যুগ্মভাবে মমতাজ বেগম ও ফাতিমা তুয যাহরা ঐশি (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গীতিকার যুগ্মভাবে নির্মলেন্দু গুন (কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল চৌধুরী (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ সুরকার যুগ্মভাবে আব্দুল কাদির ও তানভীর তারেক (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার মাসুদ পথিক (মায়া: দ্য লাস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)। 

এমআরএম