কয়েক দিন আগেই বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান আলোচিত-সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গত ১১ সেপ্টেম্বর তার বাসায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। নোবেল ও সালসাবিল দু’জনেই গণমাধ্যমের কাছে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শুধু তাই নয়, একে-অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তোলেন।

কিন্তু কয়েক দিন না যেতেই বদলে গেল নোবেলের মনোভাব। জানালেন, বিচ্ছেদ নয়, বরং স্ত্রীর সঙ্গে তার মীমাংসা হচ্ছে। পারিবারিকভাবেই নাকি তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রক্রিয়া চলছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে ফেসবুকে নোবেল লিখেছেন, ‘আমার এবং আমার স্ত্রীর মধ্যকার সকল বিবাদ পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে। বিগত কিছুদিনের কাদা ছোঁড়াছুড়ির জন্য বিনীতভাবে দুঃখিত। বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা, অনুগ্রহ করে বেফাঁস মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না।’

যদিও নোবেলের এমন স্ট্যাটাস হাস্যকরভাবেই নিয়েছে নেটিজেনরা। কেননা, বিয়ে ও স্ত্রীর সম্পর্কে তিনি নিজেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। তাই মীমাংসার খবর জানিয়েও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এ গায়ক। অবশ্য কেউ কেউ তাকে সাধুবাদও দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ডিভোর্স লেটার পাঠানোর খবর নিশ্চিত করে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল অভিযোগ করেছেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত, নারীনেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত; সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অন্যদিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোবেল বলেছিলেন, ‘দুই বছরে বিয়ে করে মাত্র তিন মাস সংসার করেছি; কেমন মেয়ে বোঝেন। আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি প্রভাবশালী পক্ষের হয়ে কাজ করেছে। আমাকে মানসিক যন্ত্রণায় রেখেছে, যাতে গান-কনসার্ট করতে না পারি।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে রাতারাতি আলোচনায় আসেন নোবেল। তার কণ্ঠে দেশের বিভিন্ন ব্যান্ডের গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই জনপ্রিয়তাকে সঠিকভাবে কাজে না লাগিয়ে বারবার কেবল বিতর্কেরই জন্ম দিয়েছেন। ওই বছরেরই ১৫ নভেম্বর সালসাবিলকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল।

কেআই