আর্থার রোডের জেলে দিন কাটছে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের। বলিউড সুপারস্টারের ছেলে হলেও কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না তাকে। 

জেলে কাউন্সেলিং চলছে আরিয়ানের। ভবিষ্যতে যাতে একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারেন এ তারকা-সন্তান, সে চেষ্টাই করছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তারা। এমনকি কোরআন, গীতা, বাইবেলের মতো ধর্মগ্রন্থও পড়তে দেওয়া হয়েছে আরিয়ান খানকে।

২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে আয়োজিত মাদক পার্টিতে অভিযান চালায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। সেখান থেকেই আটক হন আরিয়ানসহ অনেকে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান খানকে গ্রেফতার দেখায় এনসিবি। পরে আদালত তাকে জেলে পাঠান।  

জেলে আরিয়ানসহ গ্রেফতার প্রত্যেকের কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে একটি সমাজসেবী সংগঠন এবং এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। তাদের কাছেই আরিয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ছাড়া পেলে নেশা করা ছেড়ে দেবেন। মানুষের জন্য কাজ করবেন। শুধু তাই নয়, যেকোনো খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। দুঃস্থদের সাহায্য করবেন এবং তাদের আর্থিকভাবেও সাহায্য করবেন।

এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে কথা বলছেন আরিয়ানসহ বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে। এনসিবিকে আরিয়ান বলেছেন, ছাড়া পেয়ে এমন কিছু করব, যাতে আপনারা গর্ববোধ করবেন।

২০ অক্টোবর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হচ্ছে আরিয়ানদের। সেদিনই তার জামিনের পরবর্তী শুনানি হবে।

আরএইচ