রুনা লায়লা, ছবি : সংগৃহীত

করোনার লকডাউনের কারণে অনেকেই দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর অনেকেই আবার ফিরে গেছেন আগের জীবনে। তবে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে কেউ কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন।

তাদেরই একজন উপমহাদেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। টানা ১০ মাস ঘরবন্দি থাকার পর অবশেষে ঘর থেকে বের হয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই গায়িকা। বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়েছেন রুনা নিজেই।

২৩ জানুয়ারি করা সেই পোস্টে রুনা লায়লা লেখেন, ‘ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার জন্য টানা ১০ মাস পর বাড়ি (রুম) থেকে বের হয়েছি।’ এরপর অনেকেই রুনার পোস্টের নিচে নিজেদের মতামত দেন। তার জন্য প্রার্থনা করেন।

রুনা লায়লা, ছবি : সংগৃহীত 

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের সঙ্গে যুক্ত এই গায়িকা এখনো ভক্তদের নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। নিজে গাওয়ার পাশাপাশি অন্যদের গানেও সুর দিচ্ছেন।

সর্বশেষ গত ১২ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয় রুনা লায়লার সুরে হৈমন্তী রক্ষিত দাসের গাওয়া ‘আকাশে মেঘ জমেছে’। তারও আগে ১৭ নভেম্বর রুনার জন্মদিনে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আসে তাঁর সুরে লুইপার ‘এই দেখা শেষ দেখা’।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত তিনি। এছাড়া গজলশিল্পী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও সুনাম রয়েছে তাঁর।

রুনা লায়লা, ছবি : সংগৃহীত 

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই গায়িকা। বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনিশ, ফরাসি, লাতিন ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

‘শিল্পী’ সিনেমায় নায়ক আলমগীরের বিপরীতে অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়ান রুনা। পরবর্তীতে নায়ক আলমগীরকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেচে নেন তিনি।

সংগীতে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (একাধিকবার), দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ দেশ-বিদেশের বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গুণী এই সংগীতশিল্পী। 

আরআইজে