কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। ২০১৩ সালে ‘রূপকথা নয়’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। তবে আলোচিত হন একই বছরের ‘ফড়িং’ সিনেমার সুবাদে। এর আগে ছোট পর্দায় বিভিন্ন সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

অভিনয়ে সোহিনীর ক্যারিয়ার প্রায় দেড় দশকের। এই লম্বা সময়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেক রূপ দেখেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তিনি কাস্টিং কাউচেরও শিকার হয়েছিলেন। পরিচালকের অনৈতিক লালসার শিকার হতে হতে বেঁচে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি জানালেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।

কলকাতার একটি গণমাধ্যমের লাইভে এসে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে সোহিনী সেই তীক্ত অভিজ্ঞতার গল্প শোনান। তিনি বলেন, ‘একজন নারী হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়টার মুখোমুখি হতে হয়। সেটা কেবল এই পেশায় নয়। স্কুলে যাওয়ার সময় অটোতে বসে, বাসে উঠে, ট্রেনে, এরকম বহু জায়গায় বহু অভিজ্ঞতা সবারই কিছু না কিছু হয়েছে।’

মিডিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। বললেন, ‘মিডিয়া নিয়ে সবার যেমন ধারণা, আমারও তেমনই ছিল। তাই কাজ করতে এসে নিজেকে সবসময় গুটিয়ে রাখতাম। সবসময় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখারই চেষ্টা করেছি। কেউ ইয়ার্কি মারার সূত্র ধরে বাজে ইঙ্গিত করতেন। যখন আমি টিভি সিরিয়াল করেছি, তখন ভালো মানুষ যেমন পেয়েছি, তেমনি এরকম বাজে মানুষও দেখেছি। যারা অকারণে একটু স্পর্শ করতে চায়।’

না থেমে সোহিনী বলতে থাকলেন, ‘এতে যদি সাড়া না দেই, তাহলে শুটিং ফ্লোরে এমনভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি করে, বকাঝকা করে, সব গুলিয়ে দেয়। এটা আমি প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি। কেন আমার সঙ্গে এমনটা করছে। তখন আমি ছোট, ক্লাস ইলেভেন বা টুয়েলভে পড়ি। কাজটা আমি মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সে আমাকে এত বেশি বকছে, আর আমি বুঝতেও পারছি না, আসলে কেন বকছে।’

এই বকাঝকা ছিল মূলত সোহিনীকে বাগে আনার ফাঁদ। তিনি বলেন, ‘বকাঝকার পর আবার যখন মেকআপ রুমে যাচ্ছি, সে আমার সঙ্গে খুব আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে তার জালে খুব সহজেই ধরা দেই।’

সোহিনী জানান, ২০০৫-০৬ সালের দিকে এমনটা হয়েছিল তার সঙ্গে। কিন্তু তখন সোশ্যাল মিডিয়া এত অ্যাকটিভ ছিল না বিধায় সেভাবে বলতে পারেননি। অবশ্য পরবর্তীতে তিনি যখন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান, তখন আর ওই ধরণের মানুষকে দেখেননি বলে জানান। তার মতে, ওইসব লোকের মধ্যে কাজের যোগ্যতা ছিল না। তাই হারিয়ে গেছে।

কেআই/আরআইজে