গাওয়ার পাশাপাশি গানের কথা লেখা, সুর করা এবং সংগীতায়োজনের কাজও জানেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী রুবেল। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করা এই তরুণ এরইমধ্যে একক অ্যালবামসহ বেশকিছু সিঙ্গেল গান প্রকাশ করেছেন।

রুবেল এখন সাজ্জাদ খান পরিচালিত  আলোচিত সিনেমার ‘সাহস’-এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, ফলি এবং এম্বিয়েয়েন্সের কাজ করছেন! এর আগে ইশতিয়াক আহমেদ পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘কিশোর গ্যাং’-এর জন্য একই কাজ করেছেন তিনি। যা এখন মুক্তির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে রুবেল তার নতুন অ্যালবামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাতে একটি ডুয়েট গানও থাকছে। তিনি জানান, গানটি অভিজিৎ জিতু যেই সুর করেছেন তাতে ন্যান্সি আপুর ভয়েস বেশি ডিমান্ড করছে। তার সঙ্গে গাওয়ার চেষ্টা করব।

নতুন অ্যালবাম নিয়ে রুবেল বলেন, ‘সবাই এখন সিঙ্গেল রিলিজ করছেন। আমি মনে করি, এতে অনেক শ্রোতার অতৃপ্তি থেকে যায়। হয়তো ওই সিঙ্গেল বা জনরার গানটি সবার পছন্দ নাও হতে  পারে। আর একটি অ্যালবামে সব ধরণের শ্রোতাদের জন্য গান করা সম্ভব। তাছাড়া ভারত’সহ পশ্চিমা দেশগুলোতে এখনো অ্যালবাম প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। তাই আমিও নতুন অ্যালবামের কাজ করছি।’

রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক অসাধারণ শিল্পী এবং সংগীত পরিচালক রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে অসাধারণ ভাবে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরার জন্য মানুষ খুবই কম। মিক্সিং, মাস্টারিং রান্না করে  খাবার পরিবেশন করার মত বিষয়। ধরুন, অনেক সুন্দর বাজার হলো, তবে রান্না করতে  গিয়ে লবন-মরিচ বেশি হয়ে গেলে তখন আর সেই খাবার খাওয়া যায় না। ঠিক তেমনি অনেক ভালো একজন শিল্পীকে দিয়ে গানটি করানো হলো, অসাধারণ সংগীতায়োজন করা হলো, কিন্তু মিক্সিং-মাস্টারিং সেভাবে হলো না। তখন আর গানটি বেঁচে থাকে না। তাই আমি গান তৈরির সময় এই দিকটার প্রতি অনেক ফোকাস করি।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ‘যাত্রা অচিনপুর’ অ্যালবাম দিয়ে গানের ভুবনে যাত্রা করেন রুবেল। দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেই শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রিয়েলিটি শোয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে বিজয়ী হন তিনি।

আরআইজে