ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊর্বশী ঢোলাকিয়া। মাত্র ৬ বছর বয়সেই তিনি অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপর পূর্ণবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় ১৯৯৩ সালের ‘দেখ ভাই দেখ’ সিরিয়ালের মাধ্যমে।

পরবর্তীতে হিন্দি সিরিয়ালের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন ঊর্বশী। একতা কাপুরের ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ সিরিয়ালের কমলিকা বসু চরিত্রটি দিয়ে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন তিনি।

সাফল্যের পেছনে ঊর্বশী পার করে এসেছেন সংগ্রামে ভরা দীর্ঘ এক জীবন। ১৯৯৩ সালে তার বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর, তখন এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন। গভীর সেই প্রেম মেনে নেয়নি ঊর্বশীর পরিবার। তাই পরিবারের অমতেই সেই প্রেমিককে বিয়ে করে ফেলেন তিনি।

কিন্তু সংসার ভাগ্য সুখের হলো না ঊর্বশীর। বিয়ের পরই তার ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। যা মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রী। এরই মধ্যে আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি জন্ম দেন জমজ সন্তান।

সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের বছরই স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন ঊর্বশী। ১৮ বছর বয়সী এক যুবতী দুই সন্তানের মা, কিন্তু তার স্বামী নেই। সমাজের কটূক্তি আর নানা টানাপোড়েন ঘিরে ধরে তাকে। কিন্তু কঠিন সময়ের কাছে হার না মেনে ঘুরে দাঁড়ান ঊর্বশী।

অভিনয় ক্যারিয়ার এবং সন্তানদের লালন-পালন, দুটোই সমান তালে চালিয়ে যান ঊর্বশী। এই সময়টাতে অবশ্য তার পরিবার সাপোর্ট দিয়েছিল। জমজ সন্তানকে বাবা-মার বাড়িতে রেখে কাজে যেতেন তিনি।

ধীরে ধীরে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেন ঊর্বশী। অভিনয় করেন ‘মেহেদি তেরে নাম কি’, ‘কাভি সুলতান কাভি সাহেলি’, ‘তুম বিন যা-উ কাহা’, ‘কাহি তো হোগা’র মতো টিভি সিরিয়ালে। এছাড়া সালমান খান সঞ্চালিত তুমুল জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এর ষষ্ঠ আসরে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।

ঊর্বশীর সন্তানেরা এখন বড় হয়েছে। তারাও মায়ের মতো অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান। সেই সঙ্গে চান, মা এবার নিজের দিকে নজর দিক। জীবনসঙ্গী খুঁজে নিক। তবে ঊর্বশীর একটাই কথা, সন্তানদের নিয়েই তার সমস্ত সুখ।

কেআই