এ দেশে গানের জগতের পথিকৃৎ সঙ্গীতগুরু সঞ্জীব দে আর নেই। ২৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নয়াটোলার বাসায় অসুস্থবোধ করায় তাকে ধানমণ্ডি আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হলো না আর। মাঝপথে থেমে যায় তাঁর হৃদপিন্ড। 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সঞ্জীব দে’র শিক্ষার্থী দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘আমার সঙ্গীতগুরু ওস্তাদ সঞ্জীব দে আর নেই। জানা গেছে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। আমরা আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ ওস্তাদজী। সবাই তাঁর আত্মার জন্য শান্তি কামনা করবেন ।’

শিষ্যদের মাঝে সঙ্গীতগুরু সঞ্জীব দে

সঞ্জীব দে’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সঙ্গীতাঙ্গনের অনেকে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তাঁর শিষ্য। সঙ্গীতপরিচালক ইমন সাহা বলেন, ‘তিনি কেবল আমারই সঙ্গীতের গুরু নন, বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী গড়ার কারিগর ছিলেন ওস্তাদ সঞ্জীব দে। আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন তিনি না ফেরার দেশে। ঈশ্বর তাঁর আত্মার মঙ্গল করুক।’

এস ডি রুবেল বলেন, ‘চলে গেলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতগুরু সঞ্জীব দে। সংস্কৃতি নিয়ে আপনার বুকভরা অভিমানের কথাগুলো আমাকে সবসময় ভাবাবে ওস্তাদজী। ভালো থাকবেন ওপারে বিনম্র শ্রদ্ধা।’

সঞ্জীব দে

দেশের সবচেয়ে সফল সঙ্গীতগুরু হিসেবে পরিচিত সঞ্জীব দে। প্রায় অর্ধশত বছর সঙ্গীত শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে গানকে জীবনের সঙ্গে ধারণ করেন মানুষটি। দাদা পেয়ারী মোহন দে ছিলেন বাঁশিবাদক। আর বাবা মিথুন দে উচ্চাঙ্গ সংগীতের নামকরা গুরু।

দাদা ও বাবার পর সঞ্জীব দে নিজেও ‘গুরু’ সম্মানটি পেয়েছেন। তাঁর হাত ধরেও দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী পথ চলা শুরু। যাদের মধ্যে রয়েছেন শাকিলা জাফর, আলম আরা মিনু, বাপ্পা মজুমদার, আঁখি আলমগীর, দিনাত জাহান মুন্নীর মতো অসংখ্য শিল্পী।

এমআরএম