যতই অস্বীকার করুন না কেন, প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের দাবি তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের। বর্তমানে ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

সেই সূত্রেই সুকেশকে জেরার সময়ে তিনি জানিয়েছেন জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। বিভিন্ন সময়ে জ্যাকলিনকে দামি উপহার দিয়েছেন। তার দাবি যে একেবারে মিথ্যে নয়, তা স্পষ্ট নায়িকার সঙ্গে সুকেশের অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হওয়ায়।

সম্প্রতি সামনে এসেছে আইনজীবীকে জেল থেকে লেখা সুকেশের চিঠির বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেই তো তাকে এত দামি দামি উপহার দিয়েছেন। তবে ভালোবাসার মানুষকে আড়ালও করার সব চেষ্টা করেছেন সুকেশ। জানিয়েছেন আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জ্যাকলিন জড়িত নয়। এ বিষয়ে জ্যাকলিন কিছু জানেনই না। 

এখানেই শেষ নয়। জ্যাকলিন ছাড়াও বলিউডে তার অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদের নিয়েও বড্ড চিন্তায় আছেন সুকেশ। জানিয়েছেন, বলিউডে তার বন্ধুদের অযথা হেনস্থা করা হচ্ছে। তাকে বদনাম করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনো রকম ব্যবসা না করতে পারেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এখনো পর্যন্ত একাধিকবার জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে আর্থিক তছরুপ মামলায় জেরা করা হয়েছে। চার্জশিটে নায়িকার যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তাতে তিনি দাবি করেছেন, ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সুকেশের সঙ্গে আমার আলাপ, কথাবার্তা। ২০২১-এর আগস্টে ওকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি আমাদের। সুকেশ আমাকে বলেছিলেন, উনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।’ 

জ্যাকলিন জানান, তার বোন সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার লোন নিয়েছিলেন। ১৫ লাখ টাকা সুকেশ তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন যিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

জ্যাকলিন ছাড়াও নোরা ফতেহিকেও একাধিক দামি উপহার দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। এছাড়াও তার যোগাযোগ রয়েছে শ্রদ্ধা কাপুর, শিল্পা শেট্টি ও হরমন বাভেজার সঙ্গে। সুকেশ জানিয়েছেন হরমন বাভেজার পরবর্তী ছবি ক্যাপ্টেন সহপ্রযোজনার কথা ছিল তার। এই ছবিতে অভিনয় করছেন কার্তিক আরিয়ান। তিনি নাকি রাজ কুন্দ্রার জামিনের বিষয়েও শিল্পা শেট্টিকে সাহায্য করেছিলেন। এইসময়

ওএফ