করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় থমকে ছিল থিয়েটার। হল বন্ধ, নাটকের শো বন্ধসহ নানা সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও পুরনো রূপ ফিরে পেতে যাচ্ছিল থিয়েটার। দর্শকও ফিরতে শুরু করেছিল এ জগতে।

ফের শুরু হয়েছিল নাটকের শো। কিছুদিন আগে ভারতের ‘নান্দীকার’ পালন করল তাদের উৎসব। ‘মুখোমুখি’ নাট্যদলও শো করেছে। ‘মেফিস্টো’র মতো বেশ কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। আরও নাটকের শো হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। উদ্বেগের এই সময়ে আবারও দেশটিতে ঘোষণা করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সেই প্রভাব পড়ছে নাট্যজগতে। এমনটা জানিয়েছেন পৌলমী বসু, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নাট্য ব্যক্তিত্বরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পৌলমী বসু দুঃখপ্রকাশ করে লিখেছেন, “খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ৯ জানুয়ারি মধুসূদন মঞ্চে যে ‘টাইপিস্ট’ আর ‘হপ্তাছুট’-এর শো হওয়ার কথা ছিল, তা এই কোভিড পরিস্থিতির কারণে পোস্টপোন করা হল…রিয়েলি সরি।”

একইভাবে নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তার পোস্টে বলেছেন, “৯ জানুয়ারি ‘শের আফগান’-এর শো করা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টায় লোকাল ট্রেন বন্ধ, আমাদের দলের ছেলেমেয়েরা যারা দূরে থাকে শো-র পর ট্রেনে বাড়ি ফিরতে পারবে না। আর যারা কাছে থাকে তারাও শো শেষে বাড়ি ফিরতে পারবে না, কারণ রাত ১০টা থেকে নাইট কারফিউ। ‍এক‍ই বিষয় প্রযোজ্য দর্শকদের ক্ষেত্রেও। আমরা দুঃখিত। যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন, তারা টিকিটের অর্থ ফেরত পাবেন। আশাকরি এই পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আমরা আপনাদের মুখোমুখি হতে পারব।”

এমএইচএস