বাংলা সিনেমার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রয়াত হন তিনি। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেওয়া এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পাবনায়। শহরের গোপালপুর এলাকার হেমসাগর লেনে রয়েছে সুচিত্রা সেনের বাড়ি। যে বাড়িটি এখন ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ হিসেবে পরিচিত।

আর সেই বাড়িতে গেলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পাবনায় যান এই সংসদ সদস্য। এরই ফাঁকে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি পরিদর্শন করতে যান তিনি।

সুচিত্রা সেনের জীবনের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে থাকা বাড়িটি পরিদর্শন করার কিছু ছবি ফেসবুকেও শেয়ার করেন রাসেল। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মস্থান ও শৈশব-কৈশোরে বেড়ে ওঠার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি পরিদর্শন।’ যেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়িটির ভেতরে এবং বাহিরের সুচিত্রে সেনের জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিময় মুহূর্ত দেখছেন তিনি।

আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা পোস্টের কাছে সেখানে যাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেন এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই তো সুচিত্রা সেনের কথা শুনে আসছি। তার সিনেমা দেখে আসছি। আমি তার সিনেমার বড় ভক্ত। জীবনে এই প্রথম তার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি দেখতে যাই। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি পুরো বাড়ি ঘুরে দেখেছি।’

এমপি জাহিদ আহসান রাসেল আরও বলেন, “এক সময় এই বাড়িটি জামাত-বিএনপির দখলে ছিল। ফলে এর রক্ষনাবেক্ষণও ব্যাহত হয়। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িটিকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাড়িটি এখন ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এটি এখন সিনেমাপ্রেমী মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গায় পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’য় যদি ব্যবহার্য জিনিস আরও বাড়ানো যায় তাহলে এটি দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল বাড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটির দেখভাল করছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সুচিত্রা সেন। বর্ণাঢ্য সিনে ক্যারিয়ারে তিনি ৬১টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এর মধ্যে ৩০টি সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে। সুচিত্রা সেনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘সপ্তপদী’, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘হারানো সুর’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘পথে হলো দেরি’ ইত্যাদি। ১৯৬৩ সালে মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে সিলভার প্রাইজ পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাকে ভূষিত করেছিল পদ্মশ্রীতে।

আরআইজে