কিশোর কুমারকে মামা বলে ডাকতেন বাপ্পী লাহিড়ী। কিশোর কুমারও অত্যন্ত স্নেহ করতেন তাকে। বাপ্পীর সুরে একের পর গান গেয়েছেন কিশোর কুমার। সে গান আজও মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু এই কিশোর কুমারের জন্যই বাপ্পী লাহিড়ী ঠিক করেছিলেন সংগীতজগৎ ছেড়ে দেবেন।

জানা গেছে, কিশোর কুমারের মৃত্যুর পর একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন বাপ্পী। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর কোনো দিন গানে সুর দেবেন না। যদিও পরে সে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।

১৯ বছর বয়সে কলকাতা থেকে মুম্বাই পাড়ি দেন বাপ্পী লাহিড়ী। বলিউডে শুরু করেন সুরের যাত্রা। ১৯৭৩ সালে ‘ননহা শিকারি’ ছবি থেকে সুরকার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু। প্রথম থেকেই নজর কেড়ে নেন বাপ্পী লাহিড়ী। তবে তার আগে ১৯৭২ সালে বাংলা ছবি দাদুতে সুর দিয়েছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী।

তখন মোহাম্মাদ রাফি ও কিশোর কুমারের মধ্যে ছিল কঠিন লড়াই। এই সময়ই অসাধ্য সাধন করলেন বাপ্পী লাহিড়ী। ‘জখমি’ ছবির জন্য একসঙ্গে বাপ্পী ও রাফিকে গানও গাওয়ালেন তিনি। যা কিনা ইতিহাস তৈরি করেছিল।

গোটা ক্যারিয়ারে ৫০০টি ছবিতে পাঁচ হাজারের বেশি গানে সুর দিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী। একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গানের রেকর্ডিং করায় তার নাম ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড’।

গায়ক, সুরকারের পাশাপাশি সমাজসেবকও ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জাস্টিস ফর উডোসে তার অবদানের জন্য বাপ্পী লাহিড়ীকে ‘হাউজ অব দ্যা লর্ড’ সম্মানও দেওয়া হয়েছিল।

এমএইচএস