‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…’— কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দের গাওয়া গানটিকে ‘সাতটি ন্যাকার ঘ্যানঘ্যানে’র সঙ্গে তুলনা করলেন পরিচালক সোহিনী দাশগুপ্ত। সকালে রেডিওতে গানটি শুনে নাকি এমনটাই মনে হয়েছে তার।

কফি হাউস মানেই বাঙালিয়ানা। ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ, আর অনেকটা আড্ডা। এখানেই বন্ধুত্বের সূত্রপাত, প্রেমের পরিণতি। বিষাদের বেদনায় পাতার পর পাতা লেখা কবিতার উৎস এই কফি হাউস। কফি হাউসের সেই আড্ডা নিয়েই গান লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। সুর সাজিয়েছিলেন সুপর্ণকান্তি ঘোষ। বাঙালির কাছে আজও এই গান নস্টালজিয়ার।

সোহিনী দাশগুপ্ত অবশ্য এমনটা মনে করেন না। ফেসবুকে পরিচালক লেখেন, ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটি ব্যর্থ মানুষদের গান। সাতটি ন্যাকার ঘ্যানঘ্যান। নস্টালজিয়ারও একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত।’

নিজের পোস্টের নিচে পরিচালক জানিয়েছেন, সকালে রেডিওয় গানটি শোনার পর তার এই উপলব্ধি হয়েছে।

সোহিনীর পোস্টিটিতে অনেকে মন্তব্যও করেছেন। পরিচালকে সমর্থন করে লেখা হয়েছে, ‘যেকোনো স্মৃতি নিয়ে কেউ যদি বেশি ঘ্যানঘ্যান করে বেশি দিন, সেটা অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য গানটি মাঝে মাঝে শুনি।’

‘ফাইনালি! কেউ তো আমার মনের কথা বুঝলো’, এমন মন্তব্যও করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোহিনীর মন্তব্যের বিরোধিতাও করা হয়েছে কমেন্ট বক্সে। সেখানে কেউ কেউ লিখেছেন, ‘এটি তো কালজয়ী গান। আপনার ব্যক্তিগত মতামত তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলে সেটা ব্যক্তিগত আর থাকে না, তাই না! আপনি একটি কিছু ঘ্যানঘ্যানহীন নস্টালজিক লিখুন না। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, মান্না দে -র সৃষ্টি নিয়ে উক্তি করেছেন মানে আপনার মধ্যে কিছু এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্ষমতা আছে।’

এমএইচএস