ক্রিকেট বিশ্বকে অনেকটা হতবাক করে দিয়েই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। হার্ট অ্যাটাক করে মাত্র ৫২ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। সর্বকালের সেরা এই লেগ স্পিনারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে। এই শোকের মিছিলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকারাও।

ঘূর্ণি বলের জাদুকরের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে শোক জানিয়েছেন বলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালকরা।

ওয়ার্নের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অক্ষয় কুমার লিখেছেন, শেন ওয়ার্নের আকস্মিক প্রয়াণের খবর শুনে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ভীষণ হৃদয়বিদারক। ক্রিকেটকে ভালোবাসলে এ মানুষটিকে না ভালোবেসে থাকা যায় না।

আইপিএলের প্রথম আসরে রাজস্থান রয়্যালস দলের অধিনায়ক ছিলেন শেন। সে সময়ে ওই দলের অন্যতম মালিকানা ছিলেন শিল্পা শেঠি। নিজের ইনস্টাগ্রামে শেন ওয়ার্নের সঙ্গে ছবি আপলোড করে শিল্পা শেঠি লিখেছেন, কিংবদন্তিদের মৃত্যু হয় না।

ওয়ার্নের সাদা-কালো একটি ছবি পোস্ট করেছেন রণবীর সিং। একইসঙ্গে একটি কষ্টের ইমোজি জুড়ে দিয়ে শোক জানিয়েছেন তিনি।

অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ উর্মিলা মাতণ্ডকার টুইটারে লেখেন, ‘ক্রিকেট কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের অকাল মৃত্যুর কথা শুনে আমি মর্মাহত এবং শোকস্তব্ধ। অসি লেগ স্পিনারকে অনেক মনে পড়বে। শান্তিতে থাকুন।’

অভিনেতা সানি দেওল শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, ‘ক্রিকেট আজ এক মূল্যবান রত্ন হারিয়েছে। শান্তিতে থাকুন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন, প্রার্থনা রইল।’

অর্জুন কাপুর লিখেছেন, ‘হতবাক, ব্যথিত, বিস্মিত! শেন ওয়ার্ন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আপনাকে খুব মনে পড়বে।’

অভিনেত্রী ডায়ানা পেন্টি ওয়ার্নের বিদায়কে ক্রিকেটের জন্য দুঃখজনক দিন বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়া অভিনেতা বোমান ইরানি, অর্জুন রামপাল, পুলকিত সম্রাট, রণদীপ হুদা, গীতা বসরা এবং শিল্পা শেঠিসহ আরও বেশ কয়েকজন তারকা শেন ওয়ার্নকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৫ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে শেন ওয়ার্ন ঝুলিতে পুরেছেন ৭০৮ টেস্ট উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড নিয়ে। সেই রেকর্ড পরে হারিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুত্তিয়া মুরালিধরনের কাছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে এখনো তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

১৯৯২ সালে সিডনিতে টেস্ট অভিষেক তার। এরপর দুই ফরম্যাটেই সেরা হয়ে উঠতে সময় নেননি 'ওয়ার্নি'। অস্ট্রেলিয়ার ১৯৯৯ বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাঁচটি অ্যাশেজও জিতেছেন ওয়ার্ন।