গত ১১ মার্চ ভারতে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। মুক্তির পরই গোটা ভারতজুড়ে আলোচনার সুনামি বইয়ে দিচ্ছে সিনেমাটি। এমনকি আন্তর্জাতিক মুভি ডাটাবেজ আইএমডিবিতে ১০ এর মধ্যে ১০ রেটিং পেয়ে অবিশ্বাস্য রেকর্ডও করেছে!

সিনেমাটি নিয়ে তেমন কোনো প্রচারণা ছিল না। গণমাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, কোথাও সেরকম আলোচনাও হয়নি। অথচ মুক্তির পর দৃশ্যপট বদলে গেল ১৮০ ডিগ্রিতে! বক্স অফিসে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করছে। আর প্রশংসা যেন ঝড়ের বেগে আসছে।

এবার সিনেমাটি দেখার জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে দেশটির মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের গল্পে নির্মিত আলোচিত-সমালোচিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষ ছুটি দিচ্ছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার।

সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের পুলিশরা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা দেখার জন্য ছুটি পাবেন। পুলিশপ্রধান সুধীর সাক্সেনাকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিজেপিশাসিত চার রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও হরিয়ানায় সিনেমাটি এরই মধ্যে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবেক অগ্নিহোত্রী রচিত ও পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তির পর চার দিনে ৪২.২০ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ড গড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সপ্তাহ শেষে ৭৫ কোটি রুপি আয় করতে পারে সিনেমাটি।

সিনেমাটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী যোশি। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। সেই সত্যিটা ধামাচাপা দিতে আসরে নেমে পড়েছে ‘গ্যাং’।

মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদি বলেন, “এখন আপনারা দেখেছেন যে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে আলোচনা চলছে। যে লোকেরা সবসময় বাকস্বাধীনতার ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরেন, সেই গ্যাং গত পাঁচ-ছ'দিনে কেঁপে গেছে। তথ্য, শিল্পের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে সেই সিনেমাকে অস্বীকার জন্য প্রচার চলছে। পুরো একটা মহলের পক্ষ থেকে সেই কাজটা করা হচ্ছে। কেউ যদি সত্য ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানান....তার যেটা সত্যি মনে হয়েছে, সেটা উনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেই সত্যি স্বীকার করতে চাইছে না, বাকি দুনিয়া সেই সত্যের মুখোমুখি হোক, সেটাও চায় না।”

এদিকে, নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, এই সিনেমাকে দলিল হিসেবে গ্রহণ করে কাশ্মীরের সেই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোডে আইল্যান্ড রাজ্য। টুইটারে এক মিলিয়নের বেশি টুইট নিয়ে এক নম্বরে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে সিনেমাটি।