বলিউডের কালজয়ী সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ তথা কেকে’র আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে চলছে নানারকম আলোচনা। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন তিনি। গান গাইতে গাইতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, কেকে মারা গেছেন।

কেকে’র এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। প্রশ্ন উঠছে কনসার্টের চরম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, ওই অব্যবস্থাপনার কারণেই গায়কের মৃত্যু হয়েছে।

এবার প্রকাশ্যে এসেছে কেকে’র ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক কোনো কারণে গায়কের মৃত্যু হয়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন তিনি।

কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত গায়কের দেহের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিক রিপোর্টে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হবে ৭২ ঘণ্টা পর।

এদিকে একটি তথ্য ছড়িয়েছিল যে, কেকে’র কপালে ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে এটা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক সদস্য।

উল্লেখ্য, কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজ আয়োজিত কনসার্টে পরপর দু’দিন সংগীত পরিবেশন করেছিলেন কেকে। দ্বিতীয় দিন (৩১ মে) অডিটোরিয়ামে বিপুল দর্শক সমাগম হয়। ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ দর্শক প্রবেশ করেছিল। অন্যদিকে সেখানকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও ছিল বন্ধ।

যার কারণে মাত্রাতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে হয়েছিল কেকে’কে। তিনি স্পটলাইট বন্ধ করার কথাও বলেছিলেন। এছাড়া বারবার রুমাল দিয়ে ঘাম মুছছিলেন। এক পর্যায়ে আর টিকতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কনসার্ট ত্যাগ করে হোটেলে চলে যান। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

বুধবার (১ জুন) কলকাতায় কেকে’কে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। এরপর গায়কের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুম্বাইতে। সেখানেই তার শেষকৃত্য হবে।

কেআই