জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক কেকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা সংগীতাঙ্গন। তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। এই গায়কের মৃত্যু প্রসঙ্গে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. কুণাল সরকার। যেখানে তিনি তার মৃত্যুর পেছনে বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতার লজ্জা এবং দুঃখের একটি সন্ধ্যা।’ একই সঙ্গে তিনি একটি গ্রাফিক্স শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা ‘যতটা দুঃখ, ততটাই লজ্জা!

> বেসামাল ভিড়।
> AC (এসি) বেহাল-ভীষণ গরম।
> মুখের উপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্পে করা।
> ২ ঘণ্টার ওপর সময় নষ্ট করে তারপর শেষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।’

আমাদের ক্ষমা কর।’

চিকিৎসকের এ টুইট যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে যখন অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল সেই সময়ই অডিটরিয়ামে এসির অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসকের প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, কেকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, লিভার ও ফুসফুসের গুরুতর সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে। 

জানা গেছে, ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। একইসঙ্গে কোনোরকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি তার দেহে। তবে এটি রিপোর্ট প্রাথমিক। ৭২ ঘণ্টা পর কেকের মৃত্যুর আসল কারণ জানিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। এদিন হোটেলে ফিরে তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

তার ম্যানেজার রীতেশ ভাট জানিয়েছেন, গাড়ি করে ফেরার পথেই কেকে বারবার বলছিলেন, আমার সাংঘাতিক ঠান্ডা লাগছে। গাড়ির এসি বন্ধ কর। অথচ শোয়ের পর ও শো চলাকালীন দেখা গেছে তিনি ঘামছিলেন। তার ম্যানেজারের কথায়, গাড়িতে উঠতেই কেকের পায়ে ক্র্যাম্প ধরে।

এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি নজরুল মঞ্চে অতিরিক্ত ভিড় ছিল। এই প্রসঙ্গে অবশ্য আর্টিস্ট কো-অর্ডিনেটর বিজিত দে বলেন, পরিসংখ্যানের থেকে বেশি লোকজন উপস্থিত ছিল নজরুল মঞ্চে। কিন্তু, যেভাবে রটানো হচ্ছে তিনগুণ, চারগুণ লোক বেশি ছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২ হাজার ৪৮২ জনের মতো দর্শক ধরে নজরুল মঞ্চে। গতকাল কেকের শোয়ে দর্শক সংখ্যা নিঃসন্দেহে বেশি ছিল।

ওএফ