তাকে বলা হয় বাস্তব জীবনের সুপারহিরো। করোনা মহামারির সময়ে ভারতের জাতীয় তারকায় পরিণত হন তিনি। বহু মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সোনু সুদ। সিনেমায় অভিনয় করে যতখানি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছেন মানবিক কাজ করে।

মহামারির পরও নিজের সহযোগিতামূলক কাজ জারি রেখেছেন সোনু সুদ। প্রায়শই তার দাতব্য কাজের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রশ্ন জাগতে পারে, সিনেমায় খুব বেশি কাজ না করেও এত টাকা কোথায় পান সোনু? কীভাবে কোটি কোটি টাকা মানুষের জন্য ব্যয় করেন তিনি?

জানা গেল, সোনু সুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি রুপির বেশি। তার আয়ের মূল উৎস সিনেমা নয়, বরং তিনি বেশি আয় করেন বিজ্ঞাপন থেকে। একটি সিনেমা করে তিনি মোটে ২-৩ কোটি রুপি পান। তবে বিভিন্ন পণ্য-প্রতিষ্ঠানের মডেল হয়ে বিপুল অর্থ রোজগার হয় তার।

সোনু সুদের জন্ম পাঞ্জাবের মোগা শহরে। সেখানেই কাটিয়েছেন স্কুলজীবন। তার মা ছিলেন প্রফেসর ও বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। স্কুল শেষ করে নাগপুর থেকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন সোনু। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার না গড়ে চলে আসেন অভিনয়ে। স্ট্রাগল করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

মুম্বাইয়ের লোখন্ডওয়ালায় ২ হাজার ৬০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন সোনু সুদ। এছাড়াও মুম্বাইতে তার আরও দুটি ফ্ল্যাট, জুহুতে একটি বিলাসবহুল হোটেল ও তার হোম টাউন মোগায় রয়েছে একটি বাংলো।

গাড়ির বিশেষ শখ রয়েছে সোনুর। তার গাড়ির কালেকশনে রয়েছে মাসির্ডিজ বেনজ এমএল ক্লাস ৩৫০ সিডিআই, যেটার মূল্য ৬৬ লাখ রুপি। রয়েছে অডি কিউ সেভেন, যেটার মূল্য প্রায় ৮০ লাখ রুপি। এছাড়াও রয়েছে ২ কোটি মূল্যের পোরসে পানামা।

অঢেল ধনসম্পদ থাকলেও সোনু সুদ বরাবরই নিজেকে সাধারণ ভাবতে পছন্দ করেন। মাটির কাছাকাছি থেকে মানুষের সঙ্গেই তার মেলামেশা। তাই বিপদে পড়ে কেউ তার কাছে এলে খালি হাতে ফিরতে হয় না।

কেআই/আরআইজে