পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফাওয়াদ খান। বলিউডেও কাজ করেছেন তিনি। বলিউডের ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমায় তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়।  

সম্প্রতি ‘দ্য লিজেন্ড অব মওলা জাট’ সিনেমার জন্য দেড় মাসে প্রায় ৩০ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন ফাওয়াদ। তিনি মূলত বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে অনুসরণ করেছিলেন। ‘দঙ্গল’ সিনেমার জন্য ২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর পর আবার আগে লুকে ফিরে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন আমির।

তবে আমিরের মতো ফাওয়াদের সবকিছু ঠিকঠাক হয়নি। হঠাৎ ওজন বাড়িয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো তাকে। অভিনেতার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ফাওয়াদ নিজেই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভক্তদের জানিয়েছেন।

পাকিস্তানি এই অভিনেতার ওজন ৭৩ থেকে ৭৫ কেজি। তবে এই সিনেমার জন্য ওজন বাড়িয়ে ১০০ কেজি করতে হয়েছিল। অভিনেতা জানিয়েছেন, খুব কম সময়ে ওজন বাড়াতে হয়েছে তাকে। যার প্রভাব পড়েছে শরীরে।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘অল্প সময়ে ওজন বাড়াতে গেলে স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। এসবের পেছনে একটা অন্ধকার দিক আছে। মাত্র ১০ দিন পরেই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আমার কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।’

ক্রিশ্চিয়ান বেল ও আমির খান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চরিত্রের জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন ফাওয়াদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিশ্চিয়ান বেল নই। কিন্তু আমি তাঁকে নকল করেছিলাম, এমনকি আমির খানকেও। এমন কাজ কখনো করব না। নিজের সিদ্ধান্ত নিজের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। ওজন বাড়ানোর জন্য এক-দেড় মাস যথেষ্ট সময় নয়। যদি ছয় মাস সময় থাকত, তাহলে দর্শক এই সিনেমায় ভিন্ন এক রূপে দেখতে পেতেন আমাকে।’

আগে থেকেই ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল ফাওয়াদের। হাসপাতাল থেকে কিছুদিন পর ছাড়া পেয়ে গেলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তিন মাস সময় লেগে গিয়েছিল তার।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমা ‘দ্য লিজেন্ড অব মওলা জাট’। পাঞ্জাবি ভাষার সিনেমাটির বাজেট প্রায় ৭০ কোটি রুপি। বিলাল লাশারি পরিচালিত এ সিনেমায় ফাওয়াদের সঙ্গে আছেন হামজা আলি আব্বাসি ও মাহিরা খান। আগামী ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাবে সিনেমাটি।