২০১৮ সালে মিটু আন্দেলনের ঝড় ওঠে বলিউডে। বর্তমানে বলিউড সিনেমার যে দুর্দশা চলছে তার পেছনেও রয়েছে চার বছর আগে ঘটে যাওয়া ওই আন্দোলনের প্রভাব। এমন অনেকে তখন অভিযুক্ত হন যারা ছিলেন বিটাউনে খুব প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। এম জে আকবর, অলোক নাথ, সাজিদ খান, বিকাশ বহেল, নানা পাটেকার, রজত কাপুরের মতো ফিল্মি দুনিয়ার পরিচিত নামেরা অভিযুক্ত হন এই ঘটনায়।

‘মিটু’র ধাক্কায় সিনেমা পরিচালনা থেকে একদম ছিটকে যান সাজিদ খান। ‘বিগ বস: সিজন ১৬’তে এবার প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন সাজিদ। সালমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে হাজির হয়ে তিনি জানিয়েছেন নিজের অতীতের কথা।

মিটু আন্দোলনে তার ওপর ঠিক কী প্রভাব পড়েছিল সে ব্যাপারে খোলাসা করলেও অভিযোগ নিয়ে কোনো কথাই বলেননি সাজিদ। তিনি বলেন, ‘গত চার বছর যাবৎ আমি ঘরে বসে আছি। হাতে বলার মতো তেমন কোনো কাজ নেই। এরপর কালারস টিভি থেকে যখন আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো, আমি মনে করলাম আমার বিগ বসের ঘরে প্রবেশ করা এবং নিজের ব্যাপারে আরও কিছু শেখা উচিত।’

সাজিদ খানের ভাষায়, ‘আমি জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। শেষ চার বছরে শুধু নিচেই নেমেছি।’ এবার সঞ্চালক সালমান তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি শুধু একবারই পতন দেখেছো, বাকি পুরোটাই তোমার উত্থান ছিল।’

তিনি আরও যোগ করেন, “একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘ব্যর্থতা মানুষকে ধ্বংস করে’ কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ‘সফলতা আমাকে ধ্বংস করেছে’। আমি ভীষণ অহংকারী হয়ে পড়েছিলাম যখন আমার পরপর তিনটা সিনেমা বক্স অফিসে হিট হয়। ভাবতাম কখনো ব্যর্থ হব না, কোনো ভুল ফিল্ম আমি বানাতেই পারি না। অহংকারী কথাবার্তা বলা শুরু করলাম। ঈশ্বর আমাকে কষে চড় মারলেন, হিম্মতওয়ালা’ ফ্লপ হলো। এরপর কিছুটা বিনয়ী হলাম। শেষ ঝাঁকুনিটা খেলাম ‘হামশাকাল’ দিয়ে, এরপর আমি নিজের মুখই লুকিয়ে নিলাম।”

জানা যায়, শিগগির সাজিদ খান জন আব্রাহাম ও রিতেশ দেশমুখকে নিয়ে একটি কমেডি সিনেমা বানাবেন। তাদের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে থাকবেন নোরা ফাতেহি ও সাবেক বিগ বস প্রতিযোগী শেহনাজ গিল।

সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা