বর্তমানে বলিউডের অবস্থা অনেকটা ‘নিজ ঘরে পরবাসী’র মতো। যেখানে দক্ষিণের সিনেমা এসে হিন্দি মার্কেটে বাজিমাত করছে সেখানে হিন্দি ছবিগুলো নিজেদের বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। কেন পারছে না, কীভাবেই বা এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব একের পর এক প্রশ্নগুলো উঠে আসে।

২০তম ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট’-এ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং তেলেগু অভিনেতা রাম চরণ। নিজেদের ক্যারিয়ার, সিনেমার ব্যবসা থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মতো অনেক কিছু নিয়েই কথা বললেন তারা। কিন্তু এই প্রসঙ্গে যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল, তা হলো সিনেমার ব্যবসার কথা। হিন্দি সিনেমার ব্যবসার অবস্থা হাল আমলে খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। কেন? এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো অক্ষয় কুমারকে।

তার কথায়, ‘আমাদের গোটা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’ তার মতে, অতিমারির পরে মানুষের হাতে টাকা কমে গিয়েছে। এই সময়ে বিনোদন ক্রয় করার জন্য অর্থাৎ সিনেমা দেখার মতো বিষয়ের জন্য খরচ করার সামর্থ্য কমে গিয়েছে। ফলে এখন মানুষের পক্ষে আগের মতো খরচ করা সম্ভব নয়।

হিন্দি সিনেমা যেখানে পারছে না, সেখানে দক্ষিণ ভারতের ছবি সফল হচ্ছে। এর কারণটাই বা কী? সেখানেও তো বিনোদন ক্রয় করার দাম প্রায় একই। এই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাম চরণকে।

উত্তরে দক্ষিণের তারকা বলেন, “ভালো বিষয় পেলে মানুষ সেই ছবি দেখবেন। যেমন অক্ষয় কুমারের ‘সূর্যবংশী’ সফল হয়েছে, তেমনই অক্ষয়েরই ছবির রিমেক ‘ভুলভুলাইয়া’র নতুন পর্বও সফল। মোটকথা, সিনেমার সফলতা নির্ভর করছে ভালো গল্পের ওপর।”

পরিস্থিতি বদলানোর জন্য অক্ষয় কুমার একটি রাস্তার কথাও বলেন। তার মতে, এই বিনোদন মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই নিজের পারিশ্রমিক কিছুটা করে কমাতে হবে। তিনি নিজের পারিশ্রমিকও ৩০ শতাংশ কমিয়েছেন বলে জানান। বলেছেন, এভাবেই সবাই যদি কিছুটা করে কমাতে থাকেন, তাহলে হয়তো আবার সিনেমা আগের মতো দর্শক টানতে সফল হবে। কারণ সেক্ষেত্রে সিনেমার টিকিটের দাম কমবে।

কেএইচটি