নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে বড় পর্দায় নাম লেখান নম্রতা শিরোদকর। কয়েকটি ছবি করেই আলোচনায় চলে আসেন তিনি। শুধু অভিনয় দিয়েই নয়, মডেলিংয়েও নজর কাড়েন নম্রতা।

১৯৯৩ সালে বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ‘কচ্চে ধাগে’, ‘দিল ভিল পেয়ার ভেয়ার’, ‘বাস্তব’, ‘পুকার’-এর মতো ছবিতে দেখা যায় তাকে। ধারাবাহিকভাবে সব চলছিল। তার মধ্যেই ২০০৫ সালে এই অভিনেত্রী বিয়ে করেন দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার মহেশ বাবুকে। তারপরই অভিনয় জগতকে বিদায় জানান।

এ নিয়ে বারবার তার কাছে ঘুরে ফিরে এসেছে একটাই প্রশ্ন। কেন বিনোদন জগত থেকে মুখ ফেরালেন নম্রতা? এত বছর পর মুখ খুলেছেন নম্রতা।

বর্তমানে দুই ছেলে-মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন সাবেক এই অভিনেত্রী। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আরেকটু সিরিয়াস হলে আজ হয়ত অন্য মানুষ হতেন। খানিকটা আক্ষেপের সুরে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী। তবে বিবাহিত জীবনে বেশ খুশি তিনি। তার কথায়, আমি জীবনে‌ কোনো কিছুই খুব যে পরিকল্পনা করে কিছু করেছি তেমনটা নয়। যা হয়েছে খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। আমি জীবনে যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি তাতে খুশি।

কিন্তু অভিনয়কে অল্প সময়ে বিদায়? সেই প্রসঙ্গে নম্রতা বলেন, আমি ভীষণ অলস। যখন মডেলিং করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম সেই সময় অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিই। কাজটা ভালোবেসেই করছিলাম। তখনই মহেশের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। তবে কোনো অভিযোগ না রেখেই বলছি তখন যদি কাজটাকে আরেকটু গুরুত্ব দিতাম আজ জীবনটা হয়ত অন্যরকম হতো।

নম্রতা জানান, নিজের ও তার বোন শিল্পার পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন কিন্তু সেটা সীমিত। নম্রতার কথায়, আমার পরিবার উদারমনস্ক হওয়া সত্ত্বেও চাইত যেন আমরা কোনো কিছুই অতিরিক্ত না করি। জীবনে যাই করি না কেন তাতে যেন খুশি থাকি। তাই জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই আমার।

/এসএসএইচ/