ফের একবার ভারতীয় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া। প্রয়াত অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা। ‘আলি বাবা: দাস্তান এ কাবুল’ ধারাবাহিকে রাজকন্যা মারিয়ামের চরিত্রে অভিনয় করতেন তুনিশা। সেই ধারাবাহিকের সেটেই আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী।

সূত্রের খবর, শনিবার শুট করতে সেটে আসেন অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ে সেই সেটের মেকআপ রুমেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তুনিশা। ফ্যান থেকে ঝুলন্ত তুনিশাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

মাত্র ২০ বছর বয়সেই আত্মহ্ত্যা করলেন অভিনেত্রী। সেট থেকেই খবর দেওয়া হয় তার পরিবারকে। হাসপাতালে পৌঁছে মেয়ের মৃত্যুর খবর পায় তুনিশার পরিবার। আলি বাবা ধারাবাহিকের তার সঙ্গে অভিনয় করতেন সিজান খান ও সায়ন্তনী ঘোষ। আকস্মিক এই আত্মহত্যায় হকচকিয়ে যান সকলেই। কেন আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেটে উপস্থিত বাকি সকলকেই। এখনও হাসপাতালেই রয়েছে তুনিশার দেহ।

কাজ করেছিলেন নানান হিন্দি সিনেমায়। ‘কাহানি’, ‘ফিতুর’, ‘বার বার দেখো’ ছবিতে কাজ করেছেন। সম্পর্কে ছিলেন সিজান খানের সঙ্গে। তার সঙ্গেও বা কোনো বিবাদ অথবা মতভেদ হয়েছিল কিনা সেই প্রসঙ্গেও জানা যায়নি। তবে আজ সকালেই নিজের মেকাপ রুম থেকে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন তিনি। তার মধ্যেই যে এরকম কিছু হয়ে যাবে যেন ভাবনার অতীত।

এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘ফিল্মসিটিতে রামদেব স্টুডিয়োতে শ্যুটিং হয় আলি বাবা ধারাবাহিকের। এদিনও শুটিং চলছিল। শটের মাঝে ব্রেক নিয়ে বাথরুমে যান তুনিশা। এরপরই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় মেকআপ রুমে। সেটে উপস্থিত সকলে তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান যে, মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছে তুনিশাকে। সেটে ও হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছে গেছে। তদন্ত চলছে। আমরা সেটে উপস্থিত সকলের স্টেটমেন্ট নিচ্ছি।’

কেএইচটি