মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে চলছিল বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবির শুটিং। সেখানে হাজির হতে বন্ধুকে নিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট শ্রাবণ বিশ্বকর্মা। পথিমধ্যে চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হয়ে যেতে হলো হাসপাতালে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ঠিক কী ঘটেছিল ওইদিন? ঘটনার বর্ণনায় ২৭ বছর বয়সী শ্রাবণ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে বাইকে করে শুটিংয়ে যাচ্ছিলাম। শুটিং লোকেশন থেকে একটু দূরে একটি শূকর রাস্তা পার হচ্ছিল। তখন ভাবলাম তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যাই। বাইকের গতি বাড়াতেই দেখলাম একটা চিতা শুয়োরের পিছু পিছু ছুটছে। আমার বাইক চিতাবাঘের সঙ্গে ধাক্কা খেল। আমি বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার যেটুকু মনে আছে সেটা হলো, চিতাবাঘটি আমার চারপাশে ঘোরাফেরা করছিল, তখন আমি জ্ঞান হারাই, আমার কিছুই মনে নেই। হয়তো লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

মেকআপ আর্টিস্টের ওপর এই হামলায় ক্ষুব্ধ অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্সের সভাপতি সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গুপ্ত। বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ‘বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করার অনুরোধ করছি। এই ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে। সর্বভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্সের সভাপতি হিসেবে আমি জানতে চাই, কে চিতাবাঘের থেকে বাঁচার গ্যারান্টি দেবে।’

মেকআপ আর্টিস্ট শ্রাবণ বিশ্বকর্মা

তার কথায়, ‘ফিল্ম সিটিতে বারবার আসা চিতাবাঘের হামলা হয়, অথচ যেখানে হাজার হাজার শুটিং হয়। আমি চাই সরকার এই বিষয়ে নজর দিক। ফিল্মসিটি তিন শ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে। আপনি যদি রাতে এখানে বেড়াতে যান, তাহলে দেখবেন স্ট্রিট লাইটেরও সুবিধা নেই। এখানে লাইটের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটি ঘটে হেলিপ্যাড এলাকার কাছে, যেখানে অক্ষয়ের ছবির শুটিং চলছিল।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবির শুটিং চলছে পুরোদমে। পূজা এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফকে। এতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন সোনাক্ষী সিনহা ও মানুষি ছিল্লার।