শুধুমাত্র দুই দেশের সংস্কৃতি আলাদা হওয়ায় কী না সহ্য করতে হয়েছে চ্যাটার্জি পরিবারকে। দুধের দুই শিশুকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে গেল দেশের সরকার। দুই সন্তানকে ফিরে পেতে এক মায়ের অদম্য লড়াইয়ের সত্যি কাহিনি হয়তো সবার সামনে আসতোই না যদি না ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির প্রেক্ষাপট সামনে আসত। এক প্রবাসী বাঙালি বাবা-মা আর তাদের সন্তানদের জীবনযাপনের নিরিখেই চিত্রনাট্যের বুনন।

নিজের সন্তানের ভালো করে দেখভাল করতে পারছে না বাবা-মা, অভিযোগ তুলে দুই সন্তানকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয় নরওয়ে সরকার। আর তারপরেই শুরু হয় নরওয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিসেস চ্যাটার্জির লড়াই। ‘আমি দেবিকা। আর ইনি আমার হাজব্যান্ড মিস্টার চ্যাটার্জি। ইনি নরওয়েতে কাজ করেন। আর এই আমাদের দুই সন্তান। প্রিয় কলকাতা ছেড়ে নরওয়েতে নিজেদের দুনিয়া তৈরি করেছি। কিন্তু, একদিন আমাদের কাছ থেকে আমাদের দুনিয়া কেড়ে নেওয়া হলো।’ রানির মুখে এই সংলাপেই শুরু হয় ছবির ট্রেলার।

এই গল্প এক চ্যাটার্জি পরিবারের। যে পরিবারের কর্তা নরওয়েতে কর্মরত। যে চরিত্রে ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তার স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে রানিকে। যিনি নিতান্তই একজন সাদামাটা একজন হাউসওয়াইফ। দুই সন্তানকে নিয়েই কলকাতায় মিসেস চ্যাটার্জির পৃথিবী। স্বামীর সঙ্গে থাকবেন তাই দুই সন্তানকে নিয়ে নরওয়ে যান তিনি। কিন্তু এই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হলো না।

মা-বাবার কাছে সঠিকভাবে মানুষ হচ্ছে না সন্তানেরা। চ্যাটার্জি দম্পতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে দুধের শিশুদের কেড়ে নেয় নরওয়ে সরকার। দুই সন্তানকে মা-বাবার থেকে আলাদা করে রাখা হয়। সরকার এবং আইনও সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এই পরিস্থিতিতে শুরু হয় রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক মায়ের লড়াই। অনুরূপ এবং সাগরিকা ভট্টাচার্যর জীবনের গল্প দিয়েই ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক আসিমা ছিব্বার। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাদেরই দুই সন্তান অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যকে। 

‘মর্দানি ২’র পর রানি মুখার্জিকে রুপালি পর্দায় আবারও দেখা যাবে ছকভাঙা চরিত্রে। আর এই ছবিটিই অনির্বাণের প্রথম হিন্দি ছবি হতে চলেছে। আগামী ১৭ মার্চ মু্ক্তি পাবে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’।

সূত্র : জি নিউজ