এইতো করোনার কিছুদিন আগেও তাকে বলা হতো ‘গ্যারান্টি কুমার’। তার ছবি মানেই বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখার নিশ্চয়তা। করোনা এসে যেন সব এলোমেলো করে দিলো। ‘সূর্যবংশী’র পর টানা ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়াতে, নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু করতে। কিন্তু কীসের কী, শনির দশা যেন কাটছেই না!

টানা ব্যর্থতায় কী ভাবছেন অভিনেতা? কেননা এর আগে এমন পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন শাহরুখ খান। গত বছর ‘লাল সিং চাড্ডা’ ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে এখনও অভিনয় থেকে অবসরে আছেন আমির খান। তবে কি অক্ষয় বিরতির কথা ভাবছেন?

এ ব্যাপারে অভিনেতা জানান, যদি পর পর ছবি ব্যর্থ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিরতি নেওয়ার এবং নিজেকে বদলানোর সময় এসেছে। এই ব্যর্থতা তার জীবনে কোনো নতুন ব্যাপার নয়। বক্স অফিসে ছবির এই বিপর্যয়ের দায় তারই।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাওয়া ‘সেলফি’ বক্স অফিসে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অক্ষয়ের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এটিই সবচেয়ে বড় ফ্লপ। কোনো মিরাকল না ঘটলে এই ছবির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

অক্ষয় বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এটা প্রথম ঘটছে না। একটা সময় টানা ১৬টা ছবি ফ্লপ হয়েছে আমার। পর পর ৮টা ছবি চলেনি, এমনটাও হয়েছে। এখন ৩-৪টা ছবি টানা ব্যর্থ হয়েছে। ছবির এই ব্যর্থতার দায় আমার। দর্শক বদলাচ্ছে, আমাকেও বদলাতে হবে। নিজেকে ভাঙতে হবে। নতুন করে শুরু করতে হবে, কারণ দর্শক নতুন কিছু দেখতে চায়।’

অভিনেতার কথায়, ‘এটা সতর্কবার্তা। আপনার ছবি না চললে দোষ আপনারই। আমিও নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করছি।’

ছবির ব্যর্থতার জন্য দর্শক দায়ী নন বলেও মনে করেন অক্ষয়। অভিনেতার ভাষায়, ‘দর্শককে দোষারোপ করা উচিত নয়। ছবি চলছে না ভুল ছবি নির্বাচনের জন্য। যে যে উপকরণ ছবিতে থাকা দরকার, তা না থাকার জন্য।’

প্রসঙ্গত, এর আগে পর পর চৌদ্দটি ছবি ব্যর্থ হওয়ায় দেশ ছেড়ে কানাডায় চলে গিয়েছিলেন অক্ষয়। সেই থেকে তিনি কানাডার নাগরিক। যদিও কাজ করেছেন ভারতে। আয়কর দিয়েছেন এ দেশেই। এদিকে ভারতের পাসপোর্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা। দেশে ফিরে কাজ করতে চাইছিলেন সাফল্যের মুখ দেখে। এবার কি তবে সিদ্ধান্ত বদলাবেন?