নীল সিনেমার জগত ছেড়ে আসার পর বলিউডে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন সানি লিওন। দর্শকদের সামনে নিজেকে হাজির করেছেন নতুনভাবে, অভিনেত্রী পরিচয়ে।

এসবের মাঝেও প্রায় সময়েই নিজের অতীতের জন্য বিব্রতকর মুহূর্তের শিকার হন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সানি।

যেখানে তিনি কথা বলেছেন ‘ডিপফেক’ ভিডিও প্রসঙ্গে। বলিউডে হঠাৎ করেই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই বিষয়টি। যার শিকার হয়েছেন- রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজলের মতো তারকারা।

শোবিজ অঙ্গনের এই তারকাদের নিয়ে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে ‘আপত্তিকর ভিডিও’। এ বিষয়ে সানি বলেন, ‘এটি একটি হুমকি, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এটি সাম্প্রতিক ইস্যু নয়। সত্যি বলতে, আমাকে নিয়েও ডিপফেক (আপত্তিকর) ভিডিও তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে প্রভাবিত হতে দিইনি। তবে কম বয়সী অনেক মেয়ে আছে, যারা এ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তারা বুঝতে চায় না, এতে তাদের কোনো দোষ নেই; তাদের কোনো ভুল নেই।’

যদি কেউ ডিপফেকের শিকার হন, তাদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে সানি লিওন বলেন, ‘কম বয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে যদি এমন খারাপ কিছু ঘটে, তবে তারা যেন সাইবার সেলে যোগাযোগ করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যেন নিজের সমস্যার কথা খুলে বলে। তাদের যেন বলা হয়, আপনার পরিচয় কিংবা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানালেও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যায়। সিস্টেমটাই আপনার পক্ষে, শুধু আপনাকে এটুকু কাজ করতে হবে।’

ডিপফেক বা আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটগুলো দাবি করেছে, এসব ভিডিও এআই-এর সাহায্যে পরিবর্তন করা হয়। এ ধরনের টুল ব্যবহার করে, অন্য কারো মুখ ভিডিওতে বসানো যায়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং অনেকে এগুলোকে সত্যিকারের ভিডিও মনে করেন।

এনএইচ