বাবা তুমি কি মারা যাচ্ছো, আহত সাইফকে দেখে প্রশ্ন পুত্র তৈমুরের
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। একে একে ৬ বার ছুরিকাঘাত করা হয় এই তারকাকে।
সেই ঘটনার প্রায় একমাস পার হতে চললো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানালেন, হামলার পরে পরিবারের বাকিদের অবস্থা কি হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে সাইফ আলি খান বলেন, সারা শরীর থেকে রক্ত ঝরছে, দেখে তৈমুর প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আমাকেই আঁকড়ে অসহায়ের মতো জিজ্ঞেস করছিল, ‘বাবা, তুমি কি মরে যাবে?’
একই অবস্থা দাঁড়িয়েছিল কারিনারও। মধ্যরাতে নিজের বাড়িতে হামলা। স্বামী গুরুতর আহত। কী করে তাকে বাঁচাবেন, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি।
বিজ্ঞাপন
অভিনেত্রী চিৎকার করে আশপাশের সকলকে ডাকছিলেন। এ অবস্থায় পরিবারের সকলকে আতঙ্কিত দেখে অবশেষে সাইফ নিজেই হাল ধরেন।
কারিনা-তৈমুরকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘তোমরা চিন্তা কর না। আমি ঠিক আছি। আমি মরব না!’
ইব্রাহিম-সারা আলি খানের কথাও বলেন সাইফ। তিনি জানান, তারাও সে রাতে পাশেই ছিলেন। শেষে এক বন্ধু আর ৬ বছরের তৈমুর একটি অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন
সাইফ বলেন, ‘সেদিন সন্ধ্যায় কারিনা বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল। পরের দিন ভোরে আমার একটি কাজ ছিল। তাই আমি যাইনি। বেবো বাড়িতে ফেরার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি। তারপর ঘুমাতে যাই। কিছুক্ষণ পরে জেহর দেখভালকারী গীতা এসে আমাদের ঘুম থেকে তোলেন। বলেন, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ছুরি হাতে জেহকে ধরে রয়েছে। আমার কাছে টাকা চাইছে! ঘড়িতে রাত তখন দুটো।’
আচমকা ঘুম ভাঙায় নিজেকে প্রকৃতিস্থ করতে কিছুটা সময় লেগেছিল অভিনেতার। তারপরেই কারিনাকে নিয়ে ছোট ছেলের ঘরের দিকে দৌড় দেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, আনুমানিক বছর তিরিশের এক ব্যক্তি হাতে ছুরি বা করাত জাতীয় কিছু অস্ত্র জেহর দিকে তাক করে রয়েছেন। বিছানায় লাঠির মতো কিছু একটা রাখা। ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে কাণ্ডজ্ঞান খুইয়ে বসেন সাইফ। কিছু না ভেবেই আততায়ীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হামলাকারী। ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যেই ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সাইফকে। যার জেরে অভিনেতার শরীরে এত ক্ষত!
এদিকে, বর্তমানে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন চেকআপ চলছে সাইফের। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি আবারও লীলাবতী হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ, যাকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
এনএইচ