ভালোবেসে ২০১০ সালে বিয়ে করেন রণবীর শোরে ও কঙ্কনা সেনশর্মা। পাঁচ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৫ থেকেই আলাদা থাকা শুরু করেন কঙ্কনা ও রণবীর। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। তবে তাদের একমাত্র সন্তান হ্যারন বেড়ে ওঠায় কোনোভাবেই যেন বাবা-মায়ের অভাব বোধ না করেন সেই দিকে খেয়াল রেখেছিলেন দুজনেই। বিচ্ছেদের পরও তারা ছেলেকে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেননি।

ভালোবাসার সংসার ভাঙার পর রণবীর ও কঙ্কনার সম্পর্ক রূপ নেয় বন্ধুত্বে। ছেলের বড় হয়ে ওঠায় কোনো আঁচ যেন না লাগে তার জন্যই দুজনে এ সম্পর্ক রেখেছেন। ছেলের দায়িত্ব ভাগ করে নেন দুজনে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীরের কাছ থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। তার ছেলে এখন নিজের ইচ্ছে মতো বাবা ও মায়ের কাছে থাকে। আপাতত এক সপ্তাহ করে সময় ভাগ করে নিয়েছে তাদের একমাত্র সন্তান।

রণবীর বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্তের প্রভাব কোনোভাবেই আমাদের সন্তানের ওপর পড়তে দিতে চাইনি। এক বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে পারিনি। কিন্তু একই পাড়ায় থাকার চেষ্টা করেছি। ওর মা আর আমি প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে ও কাউকে মিস না করে। জোর করে ওর ওপর আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিইনি। ওর যার সঙ্গে যখন থাকার ইচ্ছে হয় তখন তার সঙ্গেই থাকে। লকডাউনে আমরা সবাই গৃহবন্দি, কাজ নেই। তাই এক সপ্তাহ ও আমার বাড়িতে থাকে, পরের সপ্তাহে যায় ওর মায়ের কাছে।’

কিছুদিন আগে ছেলের জন্মদিনে রণবীর একটি ছবি পোস্ট করে শুভকামনা জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জীবনে আলো হয়ে এসেছ তুমি’। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে দুজনে মান-অভিমান ভুলেছেন। সন্তানকে জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করাই এখন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

সূত্র: জিনিউজ

এসএসএইচ